পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্বিষ্টীয় পরিচ্ছেদ । ン・A নিদাভাজন হইতে হইৰে । সুতরাং প্রাণান্তেও আমি নিনাকর কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে পারিব না ।” রামানুজ মনে মনে চিন্ত৷ করিলেন, “ঠিক কথা, ইনি পরমভাগৰত নিজের মুক্তিকামনায় ভগবানের উপাসনা করেন । ইনি কেন আমার অনুরোধে সমাজিক বিধি লঙ্ঘন করিয়া লোকের বিরাগভাজন হইবেন ? তাহার পর, তিনি পুনরায় বিনয়ের সহিত কাঞ্চীপূর্ণকে বলিলেন ; —“হে ভক্তশ্রেষ্ঠ ! এখন উপায় কি ? কে আমার মুক্তির পথ বলিয়া দিবে, আমি কোন গুরুর শরণাগত হইব ? আপনি কৃপা করিয়া এখনই আমাকে সেই গুরুর নাম বলিয়া দিন।” কাঞ্চীপুর্ণ বলিলেন “বৎস রামানুজ ! আমি তোমাকে গুরুর সন্ধান বলিয়া দিব, তুমি একদিন অপেক্ষা কর।” এই কথা বলিয়া তিনি পুনরায় ববদবাজের সেবায় মনোনিবেশ করিলেন। নিশীথকাল, জগৎ নিস্তব্ধ, সকলেই ঘোরনি দ্রায় অভিভূত, কেবল সেই শৈলোপরিস্থ উন্নত প্রাসাদে একাকী মহামতি কাঞ্চীপূর্ণ শুভ্র তালবৃন্ত হস্তে ভগবানের বীজনকার্য্যে নিযুক্ত আছেন। এমন সময় ভগবান বরদ । রাজ কাঞ্চীপূৰ্ণকৈ জিজ্ঞাসা করিলেন "ওহে ভক্তশ্রেষ্ঠ ! তোমাকে যেন কিছু বলিতে উৎসুক বলিয়া বোধ হইতেছে। অতএব তোমার মানসিক অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া বল, আমি উহা শুনিবার জন্য অত্যন্ত উৎসুক হইয়াছি।” তখন কাঞ্চীপুর্ণ রামানুজের কথিত সমুদয় বৃত্তান্ত ভগবান বরদরাজের সমীপে নবেদন করিলেন। বরদরাজ-রূপী শ্ৰীহরি বলিলেন "ওহে ভক্তশ্রষ্ঠ ! আমিই পরমতত্ত্ব এবং আমিই জগতের কারণের কারণ। মীবাত্মা ও ঈশ্বরে (পরমাত্মায়) যে প্রভেদ, উহাত স্বতঃসিদ্ধ। য সকল ব্যক্তি মুক্তি কামনা করেন, তাহাদের মুক্তিলাভের উপায়