পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WS রামামুজচরিত। উহ শৈব-ক্ষেত্রই ছিল। শঙ্করের অনুচর ভূতগণের দ্বারা পুরী নিৰ্ম্মাণের কিম্বদন্তীই তাহার প্রমাণ। তাহার পর, হরীতনাম ক্ষত্রিয় রাজবংশের কোন ব্যক্তি যত্ন পূর্বক এই ক্ষেত্র পুনঃসংস্কৃত করিয়া উহাতে বিষ্ণুমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। র্তাহার প্রভাবে অনেক বৌদ্ধ জৈন, বৈষ্ণবমত অবলম্বন করে এবং তিনি ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি পরিগ্রহ করিয়া ব্রাহ্মণ্য লাভ করেন। পূর্বে প্রায়ই এরূপ ঘটিত । পুরাণাদিতে ঐ রূপ ক্ষত্রিয়ের ব্রাহ্মণ্য লাভ ও ব্রাহ্মণের ক্ষত্ৰিয়ত্ব লাভের উদাহরণের অভাব নাই । ঐ সুপ্রসিদ্ধ ভূতপুরী বা শ্ৰীপ্রেরষ্কঞ্চৰ পূৰ্ব্বোক্ত হাৰ্বত গোত্রীয়_ব্রাহ্মণবংশ্রে যজুৰ্ব্বেদোক্ত আপস্তম্ব-শাখাধ্যায়ী কেশবাজুিক জন্মগ্রহণ করেনকেশব জ্ঞানী ও সদাচার ছিলেন । ইন্দ্রিয়সংযম ক্ষমাশীলতা ও সত্যনিষ্ঠার জন্ত জনসমাজে তাহার বিশেষ আদর ছিল। তিনি যেমন মিতাহারী, তেমনই মিতভায়ী ছিলেন। কেহ কথনও তাহাকে অঙ্গীকার ভঙ্গ করিতে দেখে নাই। এই বিষ্ণুভক্ত হরি পরায়ণ ব্রাহ্মণ প্রবীণ বয়সে ও পুত্র মুখ মন্দর্শন করিতে ন পারিয়া পুত্ৰ কামনায় ভগবানের আরাধনায় প্রবৃত্ত হন। কোন সময়ে একটি বিখ্যাত চন্দ্রগ্রহণ উপস্থিত হয়। ঐ গ্রহণ উপলক্ষে যাঞ্জিক কেশব সহধৰ্ম্মিণী কান্তিমতীর সৃহিত যেখানে কৈরাবণী নদী সমুদ্রের সহিত সম্মিলিত হইয়াছে, সেই পুণ্যতীর্থে স্নানার্থ গম করেন। পবিত্ৰতোৱা কৈরৰিণী ও মহোদধির সঙ্গমস্থা অবগাহন করিয়া তত্র ত্য পার্থসারথি নামক বিষ্ণুমূৰ্ত্তির সন্নিধা.ে পুত্ৰ কামনায় পুত্রেষ্টি-যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। কথিত আছে ;–হো শেষে ভগবান নারায়ণ র্তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলেন "ওহে ভঞ্জ জন্ম ও উৎসব ।