পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বtলকাও ৷ >o\う হইয়া মহর্ষিকে কহিলেন, ভগব ! এই যে ভরণী সুরতরঙ্গিণীর তরঙ্গ-রাশি নিপীড়িত করিয়া চলিয়াছে, তাহারই কি এই তুমুল শব্দ? ধর্মাত্মা মহর্ষি রামের এই রূপ কৌতুহল-পূর্ণ বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন, বৎস! সৰ্ব্বলোক-পিতামহ ব্ৰহ্মা কৈলাস পৰ্ব্বতে মন দ্বারা একটি উৎকৃষ্ট সরোবর সৃষ্টি করিয়া ছিলেন । র্তাহার মানস সৃষ্টি বলিয়া উহার নাম মানস সরোবর হইয়াছে। যে নদী অযোধ্যাভিমুখে প্রবাহিত হইতেছে এই মানস সরোবর হইতে নিঃসৃত হওয়াতেই উহার নাম সরযু হইয়াছে। রাম ! সরযুরই এই কল্লোল শব্দ । এই T স্থলে সরযূ গঙ্গার সহিত সমাগত হইতেছে । দেখ, নৌকার আগমন-বেগে গঙ্গা ও সরযুর জল ক্ষুভিত হইয়াছে, অতএব এক্ষণে তুমি মনঃ সমাধান পূৰ্ব্বক ঐ দুই নদীকে প্রণাম কর । অনন্তর ধাৰ্ম্মিক রাম ও লক্ষণ ঐ দুই নদীকে প্রণাম করিয়া উহাদের দক্ষিণ তীর দিয়া দ্রুতপদে গমন করিতে লাগিলেন। গমনকালে জনসঞ্চারশুন্য অতি ভীষণ এক অরণ্য রামের নেত্রপথে নিপতিত হইল । তখন তিনি বিশ্বামিত্রকে সম্বোধন পূর্বক কছিলেন, তপোধন ! এই বন কি দুর্গম! ইহা নিরস্তুর ৰিঙ্গীরবে পরিপূর্ণ, ভীষণ-স্বাপদ-কুলে সমাকীর্ণ রহিয়াছে । এই কাননের মধ্যে নানাপ্রকার বিহঙ্গ ভয়ঙ্কর স্বরে অনবরত চীৎকার করিতেছে । সিংহ ব্যাক্স বরাহ ও