পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও ৷ ২২৭ করিতে লাগিলেন । মন্ত্রজ্ঞ ঋত্বিকেরা সাম্প্রদায়িক বিধি ও শাস্ত্রানুসারে মন্ত্রপূত করিয়া আনুপূৰ্ব্বিক সমস্ত কাৰ্য্য সাধনে প্রবৃত্ত হইলেন । বহুকাল অতীত হইল। মহাতপ বিশ্বামিত্র ভাগ গ্রহণার্থ দেবগণকে আবাহন করিতে লাগিলেন, কিন্তু কেহই আগমন করিলেন না । অনন্তর তিনি যৎপরোনাস্তি ক্রোধাবিষ্ট হইয়া যুক উত্তোলন পূর্বক ত্রিশরুকে কহিলেন, নরনাথ ! অদ্য তুমি আমার স্কোপার্জিত তপস্যার ব্লু প্রত্যক্ষ কর । এই আমি স্বপ্রভাবে তোমাকে সশরীরে স্বর্গে প্রেরণ করি। সশরীরে স্বৰ্গলাভ যদিও অসুলভ, তথাচ আমার যা কিছু তপস্যার ফল সঞ্চিত আছে, তাহারই বলে তুমি ভধায় গমন কর । বিশ্বামিত্র এইরূপ কহিলে, ত্রিশঙ্ক সশরীরে স্বর্গে গমন করিলেন । তদর্শনে মহর্ষিগণ যার পর নাই ৰিস্মিত হইলেন । ত্রিশঙ্ক স্বর্গে গমন করিলে, মুররাজ ইন্দ্র দেবগণের সহিত সমবেত হইয়া তাহাকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কহিলেন, ত্রিশস্তু ! তুমি এমন কি পুণ্য করিয়াছ যে, তাহার প্রভাবে হরলোকে বাস করিতে পাইবে ? এখন পুনরায় ভুলোকে গমন কর । মুঢ় ! বশিষ্ঠদেব তোমারে অভিশাপ দিয়াছেন , অতএব তুমি এই দণ্ডেই অধোমুণ্ডে নিপতিত হও । তখন ত্ৰিশঙ্ক বিশ্বামিত্রকে কাতরম্বরে ‘রক্ষাকর, রক্ষা কর এই বলিয়া [ ২৯ }