পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ఇసి চিত্তে সেই হরধষ্ণু ভগ্ন করিল! দুৰ্ব্বিনীত দশরথতনয়ের কি দুঃসাহস ! যাহার ভুজবলপ্রভাবে, রণপণ্ডিত ক্ষত্রিয়গণ কৃতান্তের করালকবলে নিপতিত হইয়াছে, এবং যুদ্ধকথা একবারে তিরোহিত হওয়াতে, ধরিত্রী অপূৰ্ব্ব শান্তিমুখ লাভ করিতেছে, সেই ব্যক্তি ত্রিপুরান্তকারীর প্রিয়শিষ্য হইয়া যে, গুরুর ঈদৃশ অভিনব অবমাননা অবলোকন করিয়া, কাপুরুষের ন্যায় উদাসীনৱত্তি অবলম্বন করিয়া থাকিবে, ইহা কখনই সম্ভব নহে। আমি যে মুহূর্ডে হরশরাসনভঙ্গবাৰ্ত্তা শ্রবণ করিয়াছি, সেই মুহূৰ্ত্তেই আমার হৃদয়ে ক্রোধাগ্নি পুনরুদ্দীপ্ত হইয়া উঠিয়াছে। এক্ষণে দুরত্ত রামকে সমুচিত শাস্তি প্রদান করিয়া, ক্রোধাগ্নি নিৰ্ব্বাণ করিব । এইরূপ স্থির করিয়া, ভৃগুনন্দন রোষভরে সকুঠার ভূজদণ্ড বারংবার কম্পিত করিয়া, গৰ্ব্বিতবচনে উচ্চৈঃস্বরে সৈনিকগণকে কহিতে লাগিলেন, ওরে সৈনিকগণ ! তোদের রাজার পুত্র রামকে সংবাদ দে, যে ব্যক্তি একবিংশতিবার ভূমণ্ডলস্থ সমস্ত ক্ষত্রিয়ের শোণিতস্রোতে পিতৃলোকের তর্পণ-ক্রিয়া সমাপন করিয়া, ক্রোধাগ্নি নিৰ্ব্বাণ করিয়াছে ; যাহার খরধার কুঠার ভূজসহস্ৰ-সম্পন্ন অৰ্জ্জুনের রুধিরপানে পরিতৃপ্ত হইয়াছিল, অদ্য সেই পরশুরামের করাল কুঠার দুর ত্ত (রামের শোণিতপানে লোলুপ হইয়াছে। অতএব কোথায় সেই নরাধম, শীঘ্র আমাকে দেখাইয়া দে । সাগরের ন্যায় গম্ভীরপ্রকৃতি, মতিমান রামচন্দ্র, দূর হইতে ভৃগুনন্দনকে রোষান্ধচিত্ত দেখিয়া, কিছুমাত্র বিকলচিত্ত হইলেন না ; বরং সহযে মনে মনে কহিতে লাগিলেন, যিনি সমরক্ষেত্রে দুৰ্দ্দম হৈহয়পতিকে সংহার করিয়া জয়শ্ৰী লাভ করিয়াছেন, যাহার নিকট অজেয় সেনানীও সম্মুখসংগ্রামে পরাভূত হইয়া