পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N○○ রামের রাজ্যাভিষেক । ছিলেন, আদ্য, সৌভাগ্যক্রমে সেই অসামান্যপ্রতাপশালী ত্রিভূবনবিজয়ী ভগবান ভৃগুনন্দনকে সাক্ষাৎ দেখিতে পাইলাম । আহা ! কি মুনি-বীর-ব্ৰতাচারী প্রশান্তগম্ভীর কলেবর ! ! দেখিলেই বোধ হয়, যেন ইনি সাক্ষাৎ তেজোরাশি, মূৰ্ত্তিমান তপঃপ্রভাব, এবং প্রচণ্ড বীররসের আশ্রয়। ইহার মস্তকে আপিঙ্গল জটাজাল, পৃষ্ঠদেশে তুণীর, বামহস্তে ধনু, দক্ষিণকরে কুঠার, প্রকোষ্ঠে রৌদ্রাহ্মবলয়, স্কুন্ধদেশে এণচৰ্ম্ম, বক্ষঃস্থলে অক্ষস্থত্র, গলদেশে যজ্ঞোপবীত, এবং কটিদেশে বলকলবাস | বস্তুতঃ এরূপ সুন্দর অথচ ভয়ঙ্কর আকৃতি ত কখন নয়নগোচর হয় নাই । যাহা হউক, ইনি যখন ব্রাহ্মণ-সৃভাবসুলভ রোষপরবশ হইয়া, আমাকে অন্বেষণ করিতেছেন, তখন আর অধিক বিলম্ব না করিয়া স্বয়ংই ইহার নিকট গমন করা যাউক । এইরূপ বিবেচনা করিয়া, তিনি সসন্ত্রমে রথ হইতে অবতীর্ণ হইলেন এবং জামদগ্ন্যসমীপে উপস্থিত হইয়া, নতশিরে তাহাকে অভিবাদন করিলেন । ভৃগুনন্দন, প্রিয়দর্শন রামচন্দ্রকে অবলোকন করিয়া, স্মিতমুখে সত্ৰভঙ্গে কহিলেন, পূর্বে ইহার যেরূপ গুণানুবাদের কথা শুনিয়াছিলাম, ইছার আকার প্রকারও দেখিতেছি সেইরূপ । শরীর যেমন সামর্থ্যসারময়, তেমনি রমণীয়। কিন্তু এই দুষ্টকৃত অবমাননা স্মতিপথারূঢ় হইলে, আমার অন্তঃকরণে অনিবাৰ্য্য ক্রোধানল উদ্দীপ্ত হয়। কিছুতেই চিত্তের স্থৈৰ্য্য থাকে না । যাহা হউক, অদ্য দুরাত্মার শৌর্যসীম। সূচক্ষে অবলোকন করা মাইবে । মনে মনে এইরূপ বিবেচনা করিয়া, ভৃগুনন্দন রোষপরুষবাক্যে রামকে আহ্বানপুৰ্ব্বক কহিলেন রে ক্ষত্রিয়শিশো! তুই সামান্য