পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। . \SYS মৃগশিশু হইয়া, কিরূপে কেশরীর কেশাকর্ষণে উদ্যত হইয়াছিস্ । যে চন্দ্রশেখরের শরাসন আকর্ষণ করিতে মুরাসুরমধ্যে কেহই সাহসী হয় না, তুই সামান্য ক্ষত্ৰিয়-শিশু হইয়া সেই হরধন্থ ভগ্ন করিলি ! অতএব তোর এ অপরাধ কখনই উপেক্ষণীয় নহে। এক্ষণে তুই আমার ক্ষত্ৰিয়কুলসংহারকারী কোপানলে অচিরে পতঙ্গত্তি প্রাপ্ত হইব। যদি সামার্থ থাকে, প্রতিবিধানের চেষ্টা কর । পরশুরামের ঈদৃশ দৰ্পোদ্ধত বাক্য শ্রবণ করিয়া, রাম প্রশান্তগম্ভীরস্বরে বিনয় করিয়া কহিলেন, ভগবন! আমি আর্য্য বিশ্বামিত্রের নিদেশানুবৰ্ত্তী হইয়া, রাজষি জনকের প্রতিজ্ঞাপাশচ্ছেদনমানসে, বৈদেীর পরিণয়-পরিপন্থী হরকার্যক ভগ্ন করিয়াছি। ত্রিপুরান্তকারীর বা কাৰ্ত্তবীৰ্য্যজেতার অবমাননা করা আমার উদেশ্য ছিল না। অতএব আমার অপরাধ ক্ষমা করুন । জমদগ্ন্য, রামমুখনিঃস্থত পৌরুষগন্তু বিনয়বাক্য শ্রবণে উচ্চৈঃ হাস্য করিয়া কহিলেন, ওরে রণভীরু ! যে ব্যক্তি বারংবার ধরিত্রীকে নিঃক্ষত্ৰিয় করিয়াও তৃপ্তিলাভ করে নাই, অদ্য যে তাহার কোপশান্তি হইবে, কখনই সম্ভব নহে। তুই যখন বীরমদে প্রমত্ত হইয়া অপথে পদার্পণ করিয়াছিস, তখন তোকে অবশ্যই উছার প্রতিফল ভোগ করিতে হইবে । অদ্য আমি এই পরশুদ্বারা তোর শিরশেছদন করিব । যেমন নিৰ্ব্বাত স্থির জলাশয়ে শিবুখণ্ড নিক্ষিপ্ত হইলে উহার জল চঞ্চল হইয়া উঠে, তদ্রুপ পরশুরামের এবস্তুত আত্মশাঘামিশ্রিত পরুষবাক্যে, রামের চিত্ত চঞ্চল হইয়া উঠিল । তিনি ভৃগুনন্দনকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, ভার্গব ! বারংবার আপ