বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাশিয়ার চিঠি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৩১).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাশিয়ার চিঠি

নেপথ্যে; সেই নেপথ্যে সব এলোমেলো, নোংরা, অ স্বাস্থ্যকর, হুঃখে দুর্দ্দশায়, দুষ্কর্ম্মে নিবিড় অন্ধকার। কিন্ত বাইরে থেকে গিয়ে আমর! যেখানে বাসা পাই সেখানকার জানলা দিয়ে যা-কিছু দেখতে পাই সমস্তই সুভদ্র, শোভন, সুপরিপুষ্ট। এই সমৃদ্ধি যদি সমানভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে তাহল’ে তখনই ধরা প’ড়্‌তো, দেশের ধন এত কিছু বেশি নয় যাতে সকলেরই ভাত কাপড় যথেষ্ট পরিমাণে জোটে। এখানে ভেদ নেই বলেই, ধনের চেহারা গেচে ঘুচে, দৈন্যেরও কুশ্রীতা নেই, আছে অকিঞ্চনতা। দেশ-জোড়া এই অধন আর কোথাও দেখিনে ব’লেই প্রথমেই এই আমাদের খুব চোখে পড়ে। অন্যদেশে যাদের আমরা জনসাধারণ বলি, এখানে তা’রাই একমাত্র।

 মস্কৌয়ের রাস্ত! দিয়ে নানা লোক চ’লেচে। কেউ ফিটফাট নয়, দেখ্‌লেই বোঝা যায় অবকাশভোগীর দল একেবারে অস্তর্ধান ক'রেচে, সকলকেই স্বহস্তে কাজকর্ম্ম ক’রে দিনপাত ক'র্তে হয়, বাবুগিরির পালিশ কোনো জায়গাতেই নেই। ডাক্তার পেট্রোভ বলে এক ভদ্রলোকের বাড়ি যেতে হ’য়েছিলো, তিনি এখানকার একজন সম্মানী লোক, উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী। যে