পাতা:রাষ্ট্রভাষার প্রথম সোপান.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 9/ ) রচনা করিয়াছিলেন । হিন্দী যত লোক বলিতে ও বুঝিতে পারে, এবং ইহাকে ও ইহার মুসলমানী রূপ উর্দুকে যত লোক সাহিত্যের ভাষ৷ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, এই উভয় শ্রেণীর লোকের সংখ্যা ধরিলে, হিন্দীকে পৃথিবীর তৃতীয় ভাষা বলিতে হয়--উত্তর চীনা ও ইংরেজীর পরেই হিনীর স্থান । বাঙ্গালা ভাষার স্থান পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভাষাগুলির মধ্যে (হিন্দীকেও ধরিয়া) অষ্টম । ভারতবর্ষের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কংগ্রেস অতি সমীচীন ভাবেই হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্য্যদা দিয়াছেন । এই মর্য্যাদা দান আর কিছুই নহে-যাহ সত্যকার রাষ্ট্রভাষা বা আন্তঃপ্রাদেশিক ভাষা, তাহকেই স্বীকার করিয়া লওয়া মাত্র । তবে উত্তর ভারতের মুসলমানদিগের প্রতি তাকাইয়া গান্ধীজী হইতে আরম্ভ করিয়া কিছু পরিমাণ কংগ্রেসের নেতা ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উদু মিশ্র (অর্থাৎ অনাবশুক আরবী ফারসী শব্দ মিশ্র) হিন্দীর প্রতি একটু বেশী দরদ দেখাইয়া আসিয়াছেন । কিন্তু ভারতের বেশীর ভাগ “জনতা” অর্থাৎ জন-সাধারণ দেবনাগরী লিপিতে লিখিত শুদ্ধ সংস্কৃত ও প্রাকৃত শব্দময় হিন্দীরই প্রতি টান দেখাইতেছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই । বাঙ্গালীর মধ্যে হিন্দীর প্রচার হওয়া উচিৎ ৷ নেতাজী সুভাষ বসুর নিখিল ভারত জোড়। প্রতিষ্ঠার অন্ততম কারণ ছিল, হিনী ভাষার উপর তাহার পূর্ণ অধিকার । এই ভাষায় মনোজ্ঞভাবে বক্তৃত দিবার শক্তি র্তাহার ছিল ! হিন্দী শেখা কঠিন কাজ নহে। দেবনাগরীর সঙ্গে শতকরা ৯০এর অধিক হিন্দু বাঙ্গালী ছাত্র ও “ছাত্ৰা” (উচ্চ ইংরেজী স্কুলের উচু শ্রেণী পৰ্য্যন্ত যাহারা পড়িয়াছে তাহার) সংস্কৃত পাঠের কল্যাণে পরিচিত। হিন্দী শিক্ষার পথ ইহাদের জন্ত উন্মুখ রহিয়াছে