পাতা:রিক্তের বেদন - কাজী নজরুল ইসলাম.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রিক্তের বেদন্

 আমরা ‘ইস্তকনাগাদ্’ ত্যাগের মহিমা কীর্ত্তন পঞ্চমুখে করে’ আস্‌ছি, কিন্তু কাজে কতটুকু কর্‌তে পেরেছি? আমাদের করার সমস্ত শক্তি বোধ হয় এই বলার মধ্য দিয়েই গলে যায়!

 পার্‌বে? বাঙ্‌লার সাহসী যুবক! পার্‌বে এম্‌নি করে’ তোমাদের সবুজ, কাঁচা, তরুণ জীবনগুলি জ্বলন্ত আগুনে আহুতি দিতে, দেশের এতটুকু সুনামের জন্যে? তবে এস! ‘এস নবীন, এস! এস কাঁচা, এস!’ তোমরাই ত আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আশা ভরসা, সব! বৃদ্ধদের মানা শুনোনা। তাঁরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুনাম কিনবার জন্য ওজস্বিনী ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে তোমাদের উদ্বুদ্ধ করেন, আবার কোন মুগ্ধ যুবক নিজেকে ঐ রকম বলিদান দিতে আস্‌লে আড়ালে গিয়ে হাসেন এবং পরোক্ষে অভি সম্পাৎ করেন! মনে করেন, ‘এই মাথা গরম ছোকরাগুলো কি নির্ব্বোধ!’ ভেঙে ফেল, ভেঙে ফেল ভাই, এদের এ সঙ্কীর্ণ স্বার্থ-বন্ধন!

 অনেকদিন পরে দেশে একটা প্রতিধ্বনি উঠ্‌ছে; “জাগো হিন্দুস্থান, জাগো! হুশিয়ার!”

নান্নুর।—

 মা! মা! কেন বাধা দিচ্ছ? কেন এ অবশ্যম্ভাবী একটা অগ্ন্যুৎপাৎকে পাথর চাপা দিয়ে আট্‌কাবার বৃথা চেষ্টা কর্‌ছ?— আচ্ছা মা! তুমি বি-এ পাশকরা ছেলের জননী হ’তে চাও,