কর, ততই যেন তারা আমার আরো মহত্ত্বের পরিচয় পাচ্ছে!······বাইরে ত বেরোনো দায়! বেরোলেই অম্নি স্ত্রী-পুরুষের ছোটবড় মাঝারি প্রাণী আমার দিকে প্রাণপণে চক্ষু বিস্ফারিত করে’ চেয়ে থাকে, আর অন্যকে আমার সবিশেষ ইতিবৃত্ত জ্ঞাত করিয়ে বলে, ‘ঐ রে, ঐ লম্বা সুন্দর ছেলেটা যুদ্ধে যাচ্ছে।’
তারা কোন্টা দেখে আমার,—ভিতর না বাহির?
(খ)
রেলপথে,
অণ্ডালের কাছাকাছি।—
যাক্, এতক্ষণে লোকের ভক্তিশ্রদ্ধার আক্রমণ হ’তে রেহাই পাওয়া গেল!—উঃ, যুদ্ধের আগেই এও ত একটা মন্দ যুদ্ধ নয়, রীতিমত দ্বন্দ্ব যুদ্ধ! এখন একটু হাঁফ—ছেড়ে বাঁচি!······
একটা ভাল কাজ করে’ যা’ আনন্দ আর আত্মপ্রসাদ মনে মনে লাভ করা যায়, তার অনেকটা নষ্ট করে দেয় বাইরের প্রশংসায়।
সব চেয়ে বেশী ভিড় হয়েছিল কল্কাতায় আর হাবড়ার ষ্টেশনে।—ওঃ, সে কি বিপুল জনতা আর সে কি আকুল আগ্রহ আমাদিকে দেখ্বার জন্যে! আমরা মঙ্গলগ্রহ হ’তে অথবা ঐ রকমেরই স্বর্গের কাছাকাছি কোন একটা জায়গা হ’তে যেন