সিক্ত হয়ে উঠে! এখানে এসেই মনে পড়ে সেই হাজার বছর আগের ধর্ম্ম আর দেশ রক্ষার জন্যে লক্ষ লক্ষ তরুণ বীরের হাস্তে হাস্তে ‘শহিদ’ হওয়ার কথা! তেম্নি ব’য়ে যাচ্ছে সেই ফোরাত নদী, যার একবিন্দু জলের জন্য দুধের ছেলে, ‘আস্গর’ কচিবুকে জহর-মাখা তীরের আঘাত থেয়ে বাবার কোলে তৃষ্ণার্ত্ত চোখ দু’টী চিরতলে মুদে ছিল! ফোরাতের এই মরুময় কূলে কূলে না জানি সে কত পবিত্র বীরের খুন বালির সঙ্গে মাখানো রয়েছে! আঃ, এ বালির পরশেও যেন আমার অন্তর পবিত্র হয়ে গেল।
কয়েকটা পাষাণময় নিস্তব্ধ গৃহ খাড়া রয়েছে জমাট হয়ে,—উদার অসীম আকাশেরই মত বিব্রত মরুভূমি তার বালুভরা আঁচল পেতে’ চলেই গিয়েছে,—ছোট্ট দুটি তৃষ্ণাতুর দুম্বা-শিশু ‘মা’ ‘মা’ ক’রে চীৎকার কর্তে কর্তে ফোরাতের দিকে ছুটে আস্ছে,—শিশির বিন্দুর মত সুন্দর কয়েকটী বুভুক্ষু বালিকা ফোরাতের এক হাঁটু জলে নেমে আঁজ্লা আঁজ্লা জল পান ক’রে ক্ষুন্নিবৃত্তির চেষ্টা কর্ছে,—বালিতে আর বাতাসে মাতামাতি,—এই সব মিলে কারবালার একটি করুণ চিত্র চোখের সাম্নে ফুটে উঠ্ছে!······
কার্বালা! কার্বালা!! আজ তোমারই আকাশ, তোমারই বাতাস, তোমারই বক্ষের মত আমার আকাশ বাতাস বক্ষঃ সব একটা বিপুল রিক্ততায় পূর্ণ!······
সেদিনও সেই বেদুইন্ যুবতী গুলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।—এই অবাধ্য অবুঝ তরুণী সে কি উদ্দাম উচ্ছৃঙ্খল আমার