পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । না। ;-এমন কি পানীয় জলও শীঘ্রই শেষ হইয়া যাইবে । এই বর্ণনাতীত গোলমালের মধ্যে আলেক্‌জিফ যতদূর অবিচলিত থাকিয়া রুষ সাম্রাজ্যের সম্মান বজায় রাখিতে পারা যায়, তাহার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করিতেছিলেন। বন্দরের ভগ্ন রণতরীগুলিও যথাসাধ্য মেরামতের চেষ্টা পাইতেছিলেন -কিন্তু জাপানের ভয়ে সহরে এমনই হুলুস্কুল ঘাঁটিয়াছে যে কিছুই সুশৃঙ্খলাব সহিত সম্পন্ন হইল না। তাহার এত বড় অতুলনীয় ক্ষমতা, তাহাব অদ্বিতীয় প্ৰতিপত্তি, তাহার মান সন্ত্রম পদ, সবই জলাঞ্জলি যাইবার পথে বসিয়াছে , কিন্তু মানুষ কি করিতে পারে ? সকলেই ভগবানের হাত । অন্যদিকে জাপানে, জাপানী সেনাগণ ও বাজকৰ্ম্মচারিগণের মধ্যে কোনই গোলযোগ নাই। সৰ্ব্বত্র কলেব ন্যায় কাজ চলিতেছে। জাপানী রণপোত সকল আধুনিক শ্রেষ্ঠ রণপোত যেরূপ হওয়া উচিত, তাহাবই প্ৰমাণ দিয়াছে। জাপানী টবপেডো জাহাজ সকল জাপান নিজ দেশে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে ;-এক খানিও বিদেশের প্রস্তুত নহে। তাহারা প্ৰথম যুদ্ধেই দেখাইয়াছে যে তাহাবা অজেয়, দুৰ্দমনীয়, ভয়াবহ যুদ্ধোপকরণ। আডমিরাল টোগোবি অসম সাহসিক যোদ্ধাগণ কলেব ন্যায় কাজ করি।- তেছে ; কেহ বিন্দু মাত্র বিচলিত, ভীত বা পশ্চাৎপদ নহে। যাহারা প্ৰাণ । দিয়াছে, তাহারা আনন্দে প্ৰাণ দিয়াছে ;-যাহারা আহত হইয়া শয্যাশায়ী আছে, তাহাবা এক মুহুৰ্ত্তের জন্যও ওষ্ঠ হইতে কাতরোক্তি প্ৰকাশ হইতে দেয় না ! যাহারা গিয়াছে।--দেশের জন্য প্ৰাণ দিয়াছে, এই বিশ্বাসে সহস্ৰ সহস্ৰ জাপানী যোদ্ধা আনন্দিত চিত্তে স্ত্রী পুত্র পরিবার সকল ত্যাগ করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে ধীর পদক্ষেপে অগ্রসর হইতেছে। জাপানিগণ কিরূপে যুদ্ধে জাপানোব রাজধানী টোকিও হইতে যাত্ৰা করিতেছে-এ সম্বন্ধে একজন দর্শক লিখিয়াছেন :-“গাড়ীর সময় প্ৰায় নিকট হইয়া আসিয়াছে; ষ্টেসনের দ্বারে বহু নরনারী সমবেত হইয়াছে ; সহসা এই সময়ে ষ্টেসন