বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JJY 행 ۴- - ۴ - چ - به به * – " п. у. Чы * تی یا - یا "পূজার তিনদিন শ্বশুর-গৃহে অবগুণ্ঠনবতী হইয়া থাকিতে হইল ; আর বাড়ীর সকলে আমার রূপের ব্যাখ্যা করিতে লাগিল। আমার শাশুড়ী পাড়া-প্রতিবেশিনীগণের কাছে কেবলই বলেন, ‘বউমার আমার কেমন মাজা রং, কেমন মানান-সই গড়ন, ধীর চলন, বড় বড় চোখ, পাতলা পাতলা ঠোঁট, আর অষ্ট প্রহরই ভয়ে যেন জড়সড় হইয়া আছে। মা আমার সাক্ষাৎ লক্ষ্মী।” আমি শাশুড়ীর মুখে এই কথা শুনিয়া পূর্বের মত আর সীতে মুখ দেখিতে ভুলিয়া গেলাম, শাশুড়ীর দেখান প্ৰতিবিম্ব অহরহ আমার নয়ন-কোণে নাচিতে লাগিল । আর নগেন্দ্র ?-সে। কেবলই আমার প্রতি চাহিয়া থাকে9একগলা ঘোমটার মধ্য হইতে সে দৃষ্টির ভঙ্গী দেখিতে পাই না বটে, কিন্তু সকল সময় তাহা বুঝিতে পারি। তবে কি আমি রূপসী!-না, ন-আমি পোড়ার-মুখী !” “সকলের পকেটে ঘড়ী থাকে, কিন্তু সকলের ঘড়ী এক शाश না, একটু তফাৎ চলে। সকলের কপালের উপর এক জোড়া চক্ষু' আছে, কিন্তু সকলের চক্ষুই এক সামগ্ৰী-এক সময়ে এক দেখে না, -একটু তফাৎ দেখে । আমার রূপও কাপড়-ঢাকা বলিয়া সকলে সমান দেখিত না। —আমার স্বামী যাহা দেখিতেন, নগেন্দ তাহা দেখিত না, আমার মা যাহা দেখিতেন, আমার শাশুড়ী তাহ। দৈখিতেন না। গোল ত এইখানেই ;—সৰ্ব্বনাশ ত এই বৈষম্যেই ঘটিয়া থাকে। কিন্তু বৈষম্যই মনুষ্যসমাজের ব্যবস্থা, বৈষম্যবৈচিত্ৰ লইয়াই মনুষ্যচরিত্রের পুষ্টি। আমার পোড়া কপাল যে, আমি মানুষ, রক্তমাৎস দিয়াই আমার দেহ গঠিত ” . . , “আর আমার রক্তমাংসের দেবতা, আমার ভিক্ষার ঝুলি, দরিদ্রের ছিন্ন-কন্থা, পিপাসিত পথিকের জলপােত্র, অন্ধের ব্যষ্টি,