পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোরম ; ܘ݂ ܊ S SS SS SS S S C S S S S SAAAAL S S S জল মাটিতে ঢালিলেই কাদা হয়, আর গড়াইয়া নীচে গিয়া পড়ে। যতক্ষণ জল ধাতুর আধারে বা পাত্রে থাকে, ততক্ষণ, নিৰ্ম্মল পানীয় থাকে ; কিন্তু একবার পাত্ৰ হইতে গড়াইয়া পড়িলে উহা পঞ্জিল হইয়া যায়। মনের প্রবৃত্তি মনের ভিতর লুকাইয়ু থাকিলে একরকম থাকে ; বহুকাল হৃৎকোটরে লুকান থাকিলে, উহার সকল ময়লা ধীরে ধীরে কাটিয়া যায়, শেষে নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ পবিত্র হয়। মনোরমার মনোবৃত্তি এতকাল মনোমধ্যেই লুকান ছিল ; কালে উহা স্বচ্ছ এবং পবিত্ৰ হইতে পারিত্রি, কিন্তু মনোরম বিলাসের পথে প্ৰবৃত্তিকে ছাড়িয়া দিল । আর কি রক্ষা আছে ? সে প্রবৃত্তি এখন দ্রুতবেগে ধূলিপূর্ণ মাটির উপর দিয়া বহিয়া যাইবে, বিষ্ঠা-চন্দনের বিচার না। করিয়া নিজ তরল দেহে সকল সামগ্ৰীই গলাইয়া মিশাইয়া লইয়া যাইবে, শেষে পাপের চির লবণাক্ত অনন্ত অম্বুধিতে গিয়া মিশিবে।। মনোরুমার আর রক্ষা নাই। ( ( ) অন্ধকার রজনী ; এত বড় কলিকাতা-সহরেও সব অন্ধকার ! গ্যাসের আলোগুলাও যেন অন্ধকারের সহিত ঠেলা ঠেলি করিয়া শেষে অন্ধকারের অঙ্গে মিশাইয়া যাইতেছে। কচিং কদাচিৎ এক আধখানা ছ্যাকড়া গাড়ী দূরে বড় রাস্তা দিয়া যাইতেছে, আর তাহার নানাপ্রকারের ঝঙ্কারশব্দ গৃহস্থের নিস্তব্ধ কক্ষ প্ৰতিধ্বনিত করিয়া নগরের ঢাকা অন্ধকাররাশিকে যেন সজীব করিতেছে। গলির পথে এক একটা লোক হন।হন করিয়া বেগে যাইতেছে, দ্বিতলের আলোকিত বাতায়ন-পথ হইতে নীচে তাকা