৪
রূপসী বোম্বেটে
স্পন্ন হইলেই মঙ্গল। বিধবার সর্ব্বনাশ না করিয়া আমরা নিশ্চিন্ত হইতে পারিতেছি না।”
কথা শেষ হইলে উভয়ে স্ব স্ব আবাসে প্রস্থান করিল।
পর দিন সন্ধ্যাকালে জিগ্স খনির স্বত্ত্বাধিকারিণী মিসেস্ কার্টার ট্রেণ হইতে জিগ্স ষ্টেসনে নামিলেন।
খনির ম্যানেজার মর্টন ষ্টেসনে তাঁহার অভ্যর্থনা করিতে আসিয়াছিল; সে মিসেস কার্টারকে অভিবাদন করিয়া বলিল, “আপনি আসিয়াছেন! আশা করি পথে আপনার কোনও কষ্ট হয় নাই।”
মিসেস কার্টার বলিলেন, “না, আমার কোনও কষ্ট হয় নাই; কিন্তু তোমার টেলিগ্রাম, পাইয়া আমার বড়ই দুশ্চিন্তা হইয়াছে। মিঃ মর্টন, যে জনবর শুনিতেছি তাহা কি সত্য? জিগ্স খনিতে আর সোনা নাই?”
মর্টন বলিল, “দুঃখের সহিত বলিতে হইতেছে—এ জনরব সত্য। অধিক আর বলিল কি, এই ব্যাপারে আমাদের সকলেরই মস্তকে। যেন বিনামেঘে বজ্রাঘাত হইয়াছে! আজ আপনার স্বামী জীবিত থাকিলে এ সঙ্কটে একটা কিছু উপায় করিতে পারিতেন। জিগ্স। খনির উপর তাঁহার অগাধ বিশ্বাস ছিল।”
মিসেস্ কার্টার বলিলেন, “কি উপায় করিতেন? আমি ত কোনও উপায়ই দেখিতেছি না। আমার স্বামীর বিশ্বাস ছিল, এই খনিতে যে পরিমাণ স্বর্ণ আছে এত স্বর্ণ অন্য কোনও খনিতে নাই। এখন এই বিপদ হইতে মুক্তিলাভের কোনও উপায় আছে কি না শীঘ্র আমাকে বল। আমি জানি আমার স্বামী এই খনির কাজ কোন ক্রমেই বন্ধ হইতে দিতেন না। যেমন করিয়া হউক, ইহার কাজ চালাইতেন।”