পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
লণ্ডনে বিবেকানন্দ
লণ্ডনে বিবেকানন্দ

দুই অপর একদিন স্বামীজী দুপুর বেলা ঘরে ঢুকিয়া বলিতে লাগিলেন, বর্তমান লেখকের “আঙ্গুলগুলি সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া রাখিবে, প্রতি স্বামীজীর নখে যেন ময়লা থাকে না। বড় নখ হলে কেটে উপদেশ। ফেলবে। দ্যাখ আমার জামার পকেটে বা ট্রাঙ্কের ভতর একটা লােহার রিং করা নখ কাটবার অনেক রকম যন্ত্র আছে। নখ কাটবার, নখ ঘর সব রকম যন্ত্র আছে। আমায় নখ কাটবার জন্য আমেরিকায় একজন দিয়েছিল, সেইটে দিয়ে নখ পরিষ্কার কর”—এই বলিয়া নানারূপ গল্প করিয়া স্বামীজী চলিয়া গেলেন। পরদিন বেলা ১১টা বা ১২টার সময় বর্তমান লেখক কটেজ বাড়ীর উপরকার ঘরে বসিয়া সান্ন্যাল মহাশয়কে চিঠিতে Pinkeneys green, মিস মূলারের বাড়ী ও স্বামীজীর বিষয় লিখিতেছিলেন, দরজাটি ভেজান এমন সময় দরজায় ঠক্ ঠক্ করে টোকা মারার আওয়াজ হইল। বর্তমান লেখক বলিলেন, “Come in, please?” বৰ্তমান লেখক মনে করিয়া- ছিলেন যে কটেজের কেহ বােধ হয় আসিয়াছেন। দরজাটি খুলিয়া দিয়া ফিরিয়া দেখেন, যে স্বামীজী ঘরে ঢুকিলেন। বর্তমান লেখক সসম্ভ্রমে চেয়ার থেকে দাড়াইয়া উঠিলেন। “বােস বােস্” বলিয়া নিজে একটা চেয়ার টানিয়া লইয়া বসিয়া স্বামীজী বলিলেন, “কি রে, কি খেয়েছিস্?” বর্তমান লেখক বলিলেন, “অনেক দিন ভাত খেতে ইচ্ছে হয়েছিল, তাই দুটি ভাত আর একটু মাংসের ঝোল খেয়েছি।” স্বামীজী বলিলেন, “তা বেশ, মােগাড় করে নিতে পারলে গ্রামে ভাত হতে পারে।” তাহার পক্ষ

1

২৭