পাতা:ললিত সৌদামিনী - তারক নাথ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や ললিত সৌদামিনী। আর কেঁদ না, এই ললিতকে পত্র লিখলাম। ললিত এলেই তোমার বিবাহ দি। আর কারও অনুরোধ গুন না।” যে দিবস প্রাতঃকালে সাবিত্রী ললিতকে উল্লিখিত রূপ পত্র লিখিলেন, সেই দিবস সায়ংকালে বামন দাস বন্দ্যোপাধ্যায় হৃষ্ট চিত্ত্বে পাত্র সমভিব্যাহারে লইয়া দিগম্বরের বাটতে উপনীত হইলেন। পাত্রটর নাম রাম কানাই চট্টোপাধ্যায়। রাম কানাট কৃষ্ণবর্ণ, দীর্ঘাকায়, কৃশ । বয়ঃক্রম অনুমানিক চত্বারিংশত বৎসর। মস্তকের কেশ দুটা একটা পাকিতে আরম্ভ হইয়াছে, এবং সৰ্ম্ম থের দুইট দন্ত পড়িয়া গিয়াছে। এই পাত্র। ইহাই অনুসন্ধান করিতে বামন দাসের তিন মাস অতিবাহিত হইয়াছে । তিনি দিগম্বরের দ্বিতীয় পত্র পাঠ বামাত্র बान्नै श्हेय्ङ নিদ্ধান্ত হন। নান স্থান অনুসন্ধান করিলেন, কোন থানেই স্বপত্র, অর্থাৎ তাহার সমান ঘরের পাত্র পাইলেন না। পরিশেষে রাম কানাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইল। বিবাহ কর। রাম কানাইয়ের ব্যবসায় । তিনি ইতি পূৰ্ব্বে এগারটা কুলীন কুমারীর আইবড় নাম ঘুচাইয়াছেন ; সৌদামিনীকে উদ্ধার করিতে পারলেই দ্বাদশটা হয়। বামন দাস রাম কানাইকে পাইয়া যার পর নাই সন্তুষ্ট হইলেন এবং অন্যান্য কথোপকথনের পর সৌদামিনীর পাণি গ্রহণের প্রস্তাব করিলেন। রাম কানাই কছিলেন উপযুক্ত পণ পাইলে তাহার বিবাহ করিতে কোন আপত্তি নাই, তবে এক কথা এই তিনি স্ত্রীর ভরণ পোষণের ভার গ্রহণ করিতে