পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি বোকা। তুমি ভুল করছি। সেকালেও আমরা এরকম বৌ ছিলাম না, একালেও আমরা বেহায়া হয়ে যাই নি। তুমি একজনকেই আঁকড়ে থাকবে । এটা নিয়ম নয়, রীতি নয়, নীতিও নয়। তমাল শান্তভাবেই বলে, কিন্তু আইন যে-মোটা বাস্তব আইন। একবার ভাঙ্গলেই আমায় একেবারে শেষ করার সুযোগ পেয়ে যাবে। বঁাচার অন্য কোন রকম উপায় থাকলে কেউ সাধ করে এই মরণব্দশা আঁকড়ে থাকে ? গায়ে গায়ে লাগানো পাশের বাড়ীর একতলার একখানা ঘরের ভাড়াটে বিলাসের বৌ প্ৰমীলা যেন গঙ্গায় স্নান করতে অথবা সিনেমা দেখতে ঘর থেকে বেরিয়ে আনমনে পথ ভুলে তামালের রান্নাঘরের দরজায় এসে দাড়ায় । বলে, কি হচ্ছে ? সেও সাতরঙা উলের আসন ঠেলে দিয়ে মেঝেতে বসে। গায়ে डांद्ध लडैीन भांएँी छएट्रांgभ यांछि । তমাল বলে, উঠে আসাটা কি ভাল হল ভাই ? প্ৰমীলা হাসবার চেষ্টা করে বলে, এ জন্মে ওঠা হঁাটা আর হবে কিনা কে জানে ? টাকা, যোগাড় করে বারোটা একটায় ফিরবার কথা। বৌকে যে হাসপাতালে র্বাচতে পাঠাবে সে কি আর পাঁচটা নাগাদ আপিস করছে ? তার মানেই টাকা যোগাড় হয় নি! ভাবলাম, আমি তো একটা একেলে বৌ ? ঘরের কোণে মুখ গুজে মারি কেন ? পাশের বাড়ীর সেকেলে বৌটার সঙ্গে দু’টো কথা কই মরার আগে। প্ৰমীলার মুখ দেখেই বোঝা যায়, গায়ে তার তিন চার ডিগ্রি জ্বর। আজকালের মধ্যে কঠিন একটা অঞ্চারেশন না হলে তার মরণ সুনিশ্চিত। সেই ব্যবস্থার শেষ চেষ্টা, চরম চেষ্টা, করতে বেরিয়েছিল বিলাস। তার ফেরার কথা ছিল বারটা একটার মধ্যে ।