পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুতরাং বেলা পাঁচটা পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করে বোঝা গিয়েছে চেষ্টা তার ব্যর্থ হয়েছে। प्रभांबा भां५ cई क८ल थicक । প্রমীলা দরজায় ঠেস দিয়ে গা এলিয়ে বসে চোখ বুজে জড়িয়ে জড়িয়ে বলে, ঘরে শুয়ে থাকতে যন্ত্রণা হচ্ছিল, মরে যাচ্ছিলাম যন্ত্রণায় । উঠে এসে তোমার ঘরে বসে যন্ত্রণা কমে গেছে ভাই । তমাল বলে, গলার হারটা ক’ ভরির ? হাতের চুরিগুলি ? মরার পর শ্মশানে পোড়াতে নিয়ে যাবার আগেই ওগুলো কিন্তু জ্যান্তি মানুষেরা খুলে নেবে ভাই । সুমায়া যেন চাবুক খেয়ে মাথা তোলে। হেমাঙ্গ বাথরুমে বৈকালিক স্নানের জন্য জলের আশায় অপেক্ষা করছিল। জলের মালিকদের দয়া হলে জল দু’চার বালতি হয়তো এসেও যেতে পারে কলটার মুখ দিয়ে। সুমায়া তাকে ডাকে। বলে, চট করে জামা কাপড়টা পরে এসো দিকি । এই হারটা বেচে টাকা নিয়ে এসো। একে এক্ষুণি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে । লাজুক তমাল আজ কথা কয় হেমাঙ্গের সঙ্গে ! মুখ তুলে চেয়ে বলে, হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থাই করুন না। আগে ? হারটা তো রইল। প্ৰমীলার পাশের ঘরের ভাড়াটে নন্দ তাকে খুজতেই এসে पैंछि6श्नछिब् । নজর এড়িয়ে প্ৰমীলা কখন উঠে এসেছে সে টেরও পায় নি। বোধহয় ভালই হয়েছে টের না পেয়ে । টের পেলে হয় তো সখিত্বের জোরে তাকে ঘরে আটকে রাখত স্বামীর অপেক্ষায় মরবার জন্য। নন্দা মাটি মেয়ে, লাজলজার ধার ধারে না। পাড়ার বদ ছোড়া আর প্রৌঢ় বয়সী লোকেরা যেসব মেয়ে বৌয়ের দিকে লালসা ভরা ܦ