পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাসিখুশি, কথা মিষ্টি, চালচলন নাম । গুণ্ডার মত চেহার নিয়ে সারাদিন সে টে। টো করে ঘুরে বেড়াত, খেলা আর মারামারি নিয়ে মেতে থাকত এমনি সে চঞ্চল ছিল এক বছর আগে, অকাজের পর অকাজ না করলে তার স্বস্তি ছিল না । একটা কথা কোনদিন সে কারো শুনন্ত না । সে চাপল্য, শয়তানী আর অবাধ্যতা কোথায় উড়ে গেছে ! সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়ায়, এই যা একটু দোষ । কিন্তু কোন অপকৰ্ম্মের খবর না পেয়ে এবং বাডি ফিরলে ছেলের দেহে বা কাপড জামায় দুরন্তপনার চিহ্ন না দেখে হৰ্যনাথ নিশ্চিন্ত হয়। ভাবে এত দিন পরে দেশে এসেছে, পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে হয় তো আডিডা দিচ্ছে সাধ মিটিয়ে । ওতে আর কি আসে যায় ? দিন সাতেক পাবেই কিন্তু মনে তঁার খটকা লাগে ! আড়ত থেকে ভাত খেতে বাড়ি ফিরে দ্যাখে কি, শ’তিনেক দুভিক্ষের কাঙালি মেয়ে- পুরুষ, ছেলে-বুড়ো বাডির পাশে ফাকি বটগাছ তলায় পাত পেতে ভাত খাচ্ছে, পরিবেশন করছে রমেন আর তারই বয়সী পাঁচিশ-ত্রিশটি ছেলে । দেখে মুখ হঁ।া হয়ে যায় হর্ষনাথের । বাড়ির ভিতবে গিয়ে ধপাশ করে বসে পড়ে ছেলেকে সে ডেকে 에 1 “এসব কি হচ্ছে ?” রমেন তখন উৎসাহে ফুটিছে -“ওদের খাওয়াচ্ছি। বাবা ! কত হিসেব করে খাওয়াতে হচ্ছে জানো ? কদিন ধরে খায় না, বেশী খেলেই মারবে। তা কি বোঝে ব্যাটারা ? সদাই চোঁচাচ্ছে-আরো দাও, चांद ला9 ! गायब्लाcना लाश।' ‘চাল ডাল সব পেলি কোথা ?” ” 'মা দিয়েছে ।”