পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের চিনতে পারছি না ? একটু মাথা নেড়ে সমীর সায় দেয়। অগত্যা বাড়ীতেটি তাকে আনতে হয়। জামা কাপড ছাড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতে হয়, তারই ছেলেমেয়ের দুধ টুকু গরম করে খাইয়ে দিতে হয়, ডেকে আনতে হয় ডাক্তার। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানায়, আর কিছু হয় নি, একটু দুর্বল । একটু ? রাধা ঠোঁট কামড়ায় । রাত বাড়ে । চারিদিক নিঝুম হয়ে আসে । সমীরকে খাটে শুইয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে রাধা মেঝেতে নিজের শোয়ার ব্যবস্থা করেছে। অনেক দিনের খাট । যখন সে নিজের মেয়েটার মত ছোট ছিল, মার সঙ্গে এই থাটে শুয়ে ঘুমোত । রাধার ঘুম আসে না। আকাশ পাতাল ভাবে। কতকাল পরে স্বামীকে ঘরে পেয়েছে, খাটে শুয়ে ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে এপাশ ওপাশ করছে। কিন্তু রাধার মনে আশা নেই, আনন্দ নেই, স্বস্তি নেই। অন্ধকার ভবিষ্ণুতের চিন্তা আর অতীতের স্মৃতি যন্ত্রণার মতই bा° निCष्छ मा९ाद्र ग८६] । ষ্টেশনে পড়ে থাকলে হয় তো মরে যেত। এবারের মত সমীর মারবে না। কিন্তু কি লাভ হবে তাতে ? এমনিভাবে কে কতবার ঠেকিয়ে রাখবে তার অপমৃত্যু ? আপনজনের আশ্রয়ে আপনজনের সেবাযত্নে মৃত্যু ঠেকিয়ে সুস্থ হয়ে উঠে সে তো আপন হবে না । অশাস্তিতে আবার সে অসহ্য করে তুলবে জীবন! আবার তাকে তাড়িয়ে দিতে হবে বাড়ী থেকে। কিছুদিন পরের এই আগামী ঘটনার কথা কল্পনা করে রাধা শিউরে Veð কেন তাদের খবর দিতে যায়" সমীর, শেষ দেখা দেখতে চায় èR