পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেমেয়েকে ? কেন সে ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উদ্বাস্তুদের মধ্যে নীরৰে মরে গিয়ে তাদের রেহাই দেয় না ? ঘরের আলোটা জলে ওঠায় রাধা চমকে ওঠে। খাট থেকে নেমে সমীর নিজে আলো জেলেছে । ধড়মড় করে উঠে বসে রাধা। পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে। সন্ধ্যাবেলা যাকে ধরাধরি করে গাড়ী থেকে নামিয়ে খাটে শোয়াতে হয়েছিল, নিজে নিজে সে উঠে দাড়িয়েছে সাধারণ সুস্থ মানুষের মত । নিজে নিজে সে কুজো থেকে জল গড়িয়ে খাচ্ছো! নতুন এক আতঙ্কে বুক কেঁপে যায় রাধার। কে জানে কি মতলব নিয়ে এই কৌশলে সমীর বাড়ীতে ঢুকেছে, রাত দুপুরে এখন মতলব হাসিল করবে। জল খেয়ে সমীর একটু তফাতে বিছানায় বসে। ছেলেমেয়ের গায়ে একবার হাত বুলায়। বলে ; ভেবেছিলাম দু’তিনদিন সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হব। কিন্তু আর ছলনা। ভাল লাগছে না। তোমার সঙ্গে কথা না কয়ে চুপচাপ পড়ে থাকতে পারলাম না । আবার তুমি আমাদের ঠকালে ? ঠকিয়েছি, কিন্তু এবার আমার মতলব ভাল । রাধা চুপ করে থাকে। বিশ্বাস হয় না ? না হওয়াই উচিত। কিন্তু কাল তোমার বিশ্বাস হবে। সকালে আমি নিজেই চলে যাব। টাকাও চাইব না, কিছু চুরিও করব না। এরকম করার মানে কি ? ም মানে ? মানেও তুমি বিশ্বাস করবে না। আজ। আমি জীবনের O tyr