পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবনী চিঠিটা পড়ে। পড়ে।” ছেড়া পাঞ্জাবীব পকেটে গুজে রেখে। দেয়। সারাদিন এবিষয়ে সে কোন কথাই বলে না। তার গয়নাটা এবার বেচেই দিয়েছে অবনী। সেই টাকায় সে আজ এনেছে ভাল মাছ আর তারকারী, সারা হগুপ্তার রেশন । অন্য কথা অনেক ৰলেছে। আসল কথা পকেটে রেখে দিয়েছে। বেশ। তাই ভাল। চতুর্থ দফায় তাম গয়না বিক্ৰী করে সামলে নিয়ে তাকেই যদি বাতিল করতে চায় অবনী-কারুক ! রাত্রে শুতে যাবার সময় তাকে ডেকে বুকে নিয়ে আদর করে অবনী । করুক । তারপর অবনী বলে, শোন, দাদার চিঠির মানে বুঝেছে ? আমি কি যুঝতে পারি এসব ? নিজের দাদা। গুরুজন। আমি যাই নি, কিন্তু কারো কাছে নিশ্চয় শুনেছে আমার দূরবস্থার কথা। তাই এই চিঠিখানা না লিখে থাকতে পারে নি। ভাই মরে যাবে-বড়ভাই গুরুজন কখনো তা সইতে পারে ? তা হলে কালকেই আমরা ওবাড়ী যাচ্ছি ? না । ক’টাদিন কোনরকমে চালিয়ে মাসকাবারে যাব। মাইনের মোটা টাকাটা হাতে থাকবে, দাদা খুন্সীই হবেন আমরা গেলে । অবনীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবার পর আর কিছুই বদলায় না । হঠাৎ কেমন অর্থহীন হয়ে বায় ঝিমানো নিস্তেজ জীবনটা । দিনের পর দিন চাকরী ལུggཅ বার হওয়া, এভাবে ওভাবে কিছু খুচরো রোজগারের চেষ্টা করা আর একেবারে অচল হলে তমালের woዓ