পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীরেনের। একজনেরও এ পরীক্ষায় পাশ করা উচিত হয়নি। সামান্য কিছু ছেলে পাশ করেছে বলেই না বিমলের মত গাদা গাদা ছেলের ফেল করাটা দাড়িয়েছে ফেল করায়! : টলতে টলতে বিছানা ছেড়ে উঠে এসে ভুপেন দরজা ধরে দাড়ায়। নীরেনকে সে চোখেও দেখতে পায় না-সে। পরের ছেলে, যদিও প্ৰাণেশ তার অনেক দিনের বন্ধু এবং নীরেন। সেই বন্ধুরই ছেলে । সকলে মুখের দিকে তাকায়, কেউ কিছু বলার আগেই শান্ত গম্ভীর গলায় বিমলের বাবা বলে, বিমল ফেল করেছিস তো ? বেশ করেছিস । বৈঠকখানা বলে কিছু নেই। বাইরের সরু রোয়াকে দাড়িয়ে প্ৰাণেশ একজন মাঝ বয়সী ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলছিল । তারই আপিসের সুজন বাবু। তাকে দেখে নীরেন এবটু আশ্চৰ্য্য হয়ে যায়। প্ৰাণেশ যে আপিস যায় নি। তার মানে বোঝা কঠিন নয়, ছেলের পরীক্ষার খবরটা সদ্য সদ্য জানার জন্য একটা দিন আপিস কামাই করছে। কিন্তু সুজনও আপিস কামাই করে তার বাবার সঙ্গে গল্প জুড়েছে কেন ? সুজন প্রশ্ন করে, কি খবর হে ? একা বাড়ীর কাছে এসে এতক্ষণে নীরেন মুখে একটু হাসিখুশী ভাব আনতে পেরেছিল। পাশ করার আনন্দের স্বাদ পাচ্ছিল । সুজনের প্রশ্নে তার মুখ হাসিতে ভরে যায়। 에 Tf II কিরকম পাশ করেছে শুনে নিয়ে সুজন বলে, বাঃ ! বাহাদুর ছেলে ! এই ফেলের বাজারে এত ভালভাবে পাশ করা তো সোজা ব্যাপার নয় । r প্ৰশংসার লজায় বিমল নাথ নামায় । এতক্ষণে সে প্ৰথম অনুভব 8ፃ