পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদলে বেশী করে সস্তা শাক পাতা আর রুটি খেয়ে খেয়ে রোগ হবার বদলে তার দেহে একটা বিপরীত প্রক্রিয়া ঘটেছে। ভিতরে দুর্বল বোধ করে অথচ দেহটি বেশ সবল এবং পুষ্ট-আসলে যেটা খাটি পুষ্টির ধাপ্লা भांख-५ है cशें८° ७ठं । রত্ন কাঠির মত রোগ। রাণীকে দেখেই মনে মনে সে মুখ বঁকিয়েছিল । হরেনকে বলেছিল, কি বেশ্যাটে বেশ্যাটে চেহারা, মাগো ! হরেন বলেছিল, সে কি ? বেশ্যারা ওরকম ছোড়া ময়লা কাপড় পরে নাকি ? -খুটিয়ে খুঁটিয়ে তাও দেখেছ ? রত্না একটু হিংসুটে আর স্বার্থপর। জীবনে সুখশান্তি স্বচ্ছলতা থাকলে হয় তো স্বভাবের এসব খুঁত চাপা পড়ে থাকত, দুঃখ দুর্দশার চাপ মনটাকে আরও বঁকিয়ে দিয়েছে। এ তো ত্যাগ নয়, ইঙ্গিত করলে লাখাপতিরা বুলি ভরে দিতে ছুটে আসবে মে ত্যাগের মহাক্স্যে, এ স্রেফ কদৰ্য বাস্তব দারিদ্র্য । এ দারিদ্র্য হয় মানুষকে বীর লডায়ে করে তোলে নয় মনুষ্যত্ব নষ্ট করে দেয়। দারিদ্র্যই মানুয্যের সেরা শত্রু। গরীবের খাটি বন্ধুও অনেক সময় ভুল করে দারিদ্র্যকে তুলে ধরে। শোষক ধনী অমানুষ বলেই যেন শোষিত গরীবের মানুষ হয়। শুধু তারা গরীব বলেই । কত দরদীই যে ভুলে যায়, লড়াই মনুষ্যত্ব দেয় গরীবকে, তার দারিদ্র্যটা নয়। অভাব স্বভাবকে নষ্ট করবেই। মানুষের যে সদগুণ নিছক কুসংস্কার আর ফাকি শুধু সেগুলির গোড়া খোড়ে না-সেটাতো মঙ্গলের কথাই-মনুষ্যত্বও কুরে কুরে খায়। এটা ঠেকানাও আরেকটা লড়াই গরীবের وU\})