পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌচাকে ঢ়িল পড়ার মত কর্মীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। উত্তেজিত জটলা আর পরামর্শের অন্ত থাকে না । বহুদিন ধরে মনেপ্ৰাণে সকলেই যা চেয়ে আসছে, এতদিন পরে এবার কি সস্তব হবে সেটা ? নিরাশাবাদী বিপিন বলে, আরে ধোৎ । তেলে জলে কখনো মিশ খায় ? সব ভেস্তে যাবে দেখিস । কিন্তু মুখে হতাশার কথা বললে কি হবে। বিপিনেরও উৎসাহ জেগেছে। সে যেচে গিয়ে হরেনকে বলে আসে, আমি তোমার সাথে अछि उछे। ইউনিয়নের সভায় সরাসরি তাদের ইউনিয়ন ভেঙ্গে দিয়ে গোকুলদের ইউনিয়নে যোগ দেবার প্রস্তাবটা দীনেশ ঠেকাতে পারে। কিন্তু হরোনের সংশোধিত প্ৰস্তাবটা ঠেকাবার ক্ষমতা তার হয় না । সংশোধিত প্ৰস্তাবে বলা হয় যে তাদের দু’টি বেসরকারী ইউনিয়ন একসাথে পাচশো কর্মীর সভা ডেকে নতুন ইউনিয়ন গড়বে যে ইউনিয়ন বর্তমান আইন-সন্মত ইউনিয়নের স্থান দাবী করবে এবং দাবী নিয়ে লড়াই চালাবে। এ প্রচেষ্টাকে নষ্ট করার অপচেষ্টা যথাসাধ্য চলতে থাকে। সে তো চলবেই। কিছু গড়তে গেলে লড়তে হবেই। ভেঙ্গে দেবার এই প্ৰাণপণ চেষ্টার ফলে যদি শেষ পর্যন্ত ভেস্তেও যায় গড়ে তোলার চেষ্টা, সে হবে আলাদা কথা। লড়ায়ে হারজিত আছে। কিন্তু বিপদ যে এল সম্পূৰ্ণ অন্যদিক থেকে ! একটা মেয়েলি কেঁাদল খাটুয়েদের নিজস্ব নতুন ইউনিয়ন গড়ার আশা নিমূল করে দিলদিল একেবারে শেষ মুহুর্তে। সকাল বেলাই রাধতে রাধতে প্ৰচণ্ড ঝগড়া বেঁধে গেল। রত্ন আর oو