পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

397 গুণ্ডাসার্দার সুশীলের বৈঠকখানা । ঘরখানায় আসবাবপত্রের সমাবেশে যেমন সাজানো গোছানোর কায়দায় তেমনি নানা বিচিত্র রুচির অদ্ভুত মিলন ঘটেছে। রুচির এই খাপছাড়া বিকারটাই চোখে পড়ে। সকলের আগে । কল্পনা নেই, নানা রুচির সস্তা। খিচুরি। দেয়ালে বহু ছবি-শিবাজী, পরমাংস থেকে গান্ধী, রবীন্দ্ৰনাথ, জহরলাল, সুভাষচন্দ্র, রাণী ভিক্টোরিয়া থেকে মাউণ্টব্যাটেন দম্পতি, চাচিল থেকে হলিউডের প্রায় ন্যাংটো ষ্টার বেনামী এবং জটাধারী সন্ন্যাসী থেকে বাসুকী নাগের দড়ি দিয়ে দেবতা ও দানবের সমুদ্রমন্থন। এসব হল কাগজে ছাপা ছবি । এসব ছাড়াও কার্পেটে রঙীন সুতো আর উলে তোলা হরিণ ও বাঘের মাথা আছে ‘পিতা ধর্ম পিতা স্বৰ্গ’ ‘অহিংসা পরম,ধৰ্ম’, ‘পতিই সতীর সব’ ইত্যাদি নানা রকম বচন আছে। একদিকে জোড়া খাটে ফরাস পাতা, তাকিয়া-গুলিতে ঝালর দেওয়া ; অপরদিকে ষ্টিল প্লেটে ও ফ্রেমে গড়া অতি আধুনিক সোফা চেয়ার কিন্তু এপাশের দেয়াল ঘেঁষে আবার নিছক একটা সাদাসিদে কাঠের বেঞ্চি, কয়েকটা সস্তা হাটবাজারি বেতের মোড়া। একটা সাধারণ আলমারি আর দামী বুক সেলফে বিচিত্ৰ মলাটের শ” তিনেক বই ! এইগুলিতেই ধূলো জমেছে বেশী। রকমারী মলাটের শোভা ছাড়া বইগুলির সমাবেশ ঘটার মানে বোঝা অসম্ভব । শ্ৰীমতী সুশীলা দেবী নামে কোন এক অজানা মেয়ে কবির স্বামীর পয়সায় সোনালী জ্যোতির 他8