পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলে, তাকে গাড়ী চালাবার ভার দিয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করতে ওরা সাহস পাবে না, আজকেই মাইনে হাতে দিয়ে বলবে, ভালয় ভালয় বিদেয় হও ! এমনি ওরা তাকে পছন্দই করে ড্রাইভার হিসাবে, তার সাধারণ কথাবার্তা চালচলনও অপছন্দ নয় ; কিন্তু সে জানে মাঝে মাঝে তার মুখ যে খুব শুকনো আর বিষগ্ন দেখায়, অত্যন্ত অন্যমনস্ক হয়ে থাকে, ডাকলে কখনো চমকে উঠে খানিকক্ষণ শূন্যদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে-এসব লক্ষ্য করে ওদের মনে একটা খটকা লেগেছে। একবার যদি টের পায় তার সত্যিকারের অবস্থা আর একদিনও ওরা তাকে রাখবে না । ভূপেশ আর সন্ধ্যাকে আপিসে পৌছে দিলে ভূপেশ বলে, আজি আর আমাদের গাড়ীর দরকার নেই। বাড়ীতে ওরা কোথায় যাবে दलछिल, १ाऊँी निg या७ । গাড়ী নিয়ে ফিরে গিয়ে জীবন অনেকক্ষণ শুয়ে থাকে। খেয়ে দেয়ে আবার বিছানা নেয়, কিছুক্ষণের জন্য একটু তন্দ্ৰাও আসে, তবু বাড়ীর মেয়েদের সিনেমায় নেবার জন্য গাড়ী বার করার সময় তার বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে, সর্বাঙ্গ কেমন অবশ হয়ে আসে। দাতে দাত লাগিয়ে গ্যারেজে গিয়ে গাউীতে উঠতে হয়। সন্ধ্যায় বাড়ীতে আসে অতিথি, হাসি গল্প গানে ড্রয়িং রুমটা যেন আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। বাইরে বাগানে দাড়িয়ে জীবন ভাবে, চোরাবাজারে টাকা করেও জীবনটা ওরা হাসি আনন্দে ভরে তুলতে পারে, কারও কিছু চুরি না করেও তার জীবনটা এমন দুঃখময় কেন ? শাড়ী গয়নায় চোখে ধাঁধা লাগিয়ে মেয়েরা বেরিয়ে আসে। ভূপেশের স্ত্রী প্রৌঢ় সুপ্রিয়াও যেন নিজের মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে CMCGC tr