পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন হতাশ হয়ে বলে, আপনি কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না, কি বলব বলুন। ছোটখাট পাপকৰ্ম্ম করেছি বা করছি বলে তো আমার জানা নেই! কুমুদ গম্ভীর গলায় বলে, তাহলে আর টেনে কাজ নেই। তোমার কাছে আমার যা পাওনা আছে সেটা আর তোমাকে দিতে হবে না । --তাকি চয় ডাক্তারবাবু! অ্যাদিন চিকিৎসা করলেন, আপনার পাওনা টাকা আপনাকে দেব বৈকি ! এ জীবনে আর অসুখটা সারবার আশা সে রাখে না। কুমুদের মত ডাক্তার যদি রোগ ধরতে না পেরে এমন আবোল তাবোল কথা বলে, জীবনে বিশেয কোন অন্যায় কোন দিন না করে থাকলেও গায়ের জার দাড় করায় যে কোন গুরুতর অন্যায় করার জন্যই তার এই রোগ, তাহলে আর সে কার কাছে যাবে, রোগ সারবার আশা কবৰে ? শঙ্কর ডাক্তার দেহটা সবরকমে পরীক্ষা করেও কোন কারণ খুজে পায় নি। কুমুদ ডাক্তার তার মনকে পরীক্ষা করে বার করল এক কল্পিত বারণ। তার দেহ খুঁজে মন খুঁজে যদি সঠিক কারণটা না পাওয়া যায়, তবে আর আশা করা যায় কি করে ? এটা তাহলে কোন রোগ নয়। এরকম যে তার হয় এটাই তার १ां\ठ । এই অস্থিরতা, কষ্টবোধ অনিদ্রা অরুচি এ সমস্তের যে আক্রমণ হয় সেটা তার রক্তমাংসে জড়িয়ে আছে । চিকিৎসায় এর আর কোন প্ৰতিকার নেই। বড় একটা দাও মেরে মোটা টাকা লাভ করে ভূপেশ একটা ঝাকৃ ኴ”ሆ