পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাড়ী ঘুরিয়ে আনার জন্য বড় রাস্তায় তাকে যেতে হয়। বড় রাস্তায় গাড়ীর মুখ ঘুরিয়ে সে মোহিনীকে নামিয়ে দিয়ে গ্যারেজে গাড়ী ঢুকিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে । গায়ের জালায় বানিয়ে বানিয়ে মোহিনী কি বলে সেই জানে, খানিক পরেই ভূপেশ জীবনকে ডেকে পাঠায়। জীবন গিয়ে দ্যাখে রেগে একেবারে আগুন হয়ে আছে ভূপেশ । সে গিয়ে দাড়াতেই যা-তা গালাগালি সুরু করে পায়ের চটি খুলে হাতে নেয় । কিন্তু জীবনের মুখ আর হাত থেমেও যায় আচমকা। সে বোধ হয় কল্পনাও করে নি যে নিরীহ শান্ত প্ৰকৃতির জীবন এমন ভাবে রুখে উঠতে পারে। মাথা উঁচু করে জীবন বলে, আমারও মুখ আছে, পায়ে জুতো আছে, সেটা ভুলবেন না । दि न्श्र६ छ्रद्र ! কিন্তু আর গালাগালি দিতে সাহস হয় না ভুপেশের। তার বড় ছেলে বলে, তোমায় আমরা পুলিশে দেব। জীবন বলে, তা দিতে পারেন। একটা কিছু মিথ্যা দাড় করালেই হল । সেটা আপনাদের জানা আছে। ভূপেশ বলে, তুমি এই দণ্ডে বেরিয়ে যাও। -আমার মাইনে চুকিয়ে দিন। -মাইনে পাবে না। জীবন ধীরে ধীরে বলে, দেখুন, একটা কথা ভুলবেন না। গাড়ীর ড্রাইভার অনেক ভিতরের কথা জেনে যায়। আমি অনেক ব্যাপার জানি, ফাস করে দিলে বেশ মুস্কিলে পড়বেন।