পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বজ্ঞাগ । সাগর হইতে উত্তীর্ণ হওয়া যায়। ‘ওঁ নমো নীলকণ্ঠায়' এই অষ্টাক্ষর পবিত্র মন্ত্র যে ব্যক্তি একবারমাত্রও উচ্চারণ করে, সে সকল পাপ হইতে মুক্ত হয় এবং নিজ অৰ্ধশক্তি অনুসারে গন্ধপুষ্পনৈবেদ্যাদি প্রদান করির ঐ মন্ত্রদ্বারা ভক্তিপূৰ্ব্বক দেবদেকের রুদ্রকে পূজা করিলে, শিবলোকে যাইয়া পূজিত হয়। ঐ জালন্ধর মুরাস্তুর প্রভুকে সুদর্শনধারী করিয়া ভক্তিপূর্বক প্রতিষ্ঠা করিলে, শিবসাযুজ্য প্রাপ্তি অর্থাৎ শিবে লীন হয়, ইহাতে কিছুই সন্দেহ নাই। ২২–৪৭। বিষ্ণু কর্তৃক নিজনেত্ৰ কমলদ্বারা পূজিত পূৰ্ব্বোক্ত লক্ষণান্বিত সুদর্শনপ্রদ দেবের ভক্তিপূৰ্ব্বক প্রতিষ্ঠা করিত্রে শিবলোকে আদৃত হইয়া বাস করা যায়। নিকুস্তের পৃষ্ঠে দক্ষিণ পাদপদ্ম, বামভাগে ভুঞ্জলতাঙ্গ পাৰ্ব্বতী, শূলাগ্রের উপর মণিবন্ধ স্থাপিত, অঙ্গে সপের কিঙ্কিণী, পার্শ্বে কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত অম্বকামুর, শিবের যথাযোগ্য এইরূপ রূপ প্রতিষ্ঠা করিলে শিবসাযুজ্য প্রাপ্তি হয়। রথে ব্ৰহ্মা সারথি, হস্তে ধনুৰ্ব্বাণ, সঙ্গে উমা, চন্শেখরের এইরূপ ত্রিপুরান্তক মূৰ্ত্তি যে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করে, সে শিবপুরে গিয মহানন্দে তথ্য ইচ্ছানুযায়ী মহাভোগ ভোগ করিয়া, দ্বিতীয় শঙ্করের স্তায় ক্রীড়া করিতে সমর্থ হয় ; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই এবং সেই স্থলেই বিচারিত জ্ঞান লাভ করিষা সেখানেই মুক্ত হইয়া থাকে। বাম ক্রোড়ে অম্বিকসমন্বিত গঙ্গার সহিত সুখাসীন চন্দ্রশেখর গঙ্গাধরকে ও জ্যেষ্ঠ বিনায়ুক স্কন্দ, মুশোভনা তুর্গ, ভাস্কর, চন্দ্র, ব্ৰহ্মাণী, মহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বরদা, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও বীরভদ্রসমন্বিত চামুণ্ডকে বিঘ্নেশের সহিত নিৰ্ম্মাণ করিলে শিবসাযুজ্য লাভ করিয়া থাকে। মহা জ্বালামালায় সংবৃত অব্যয় লিঙ্গমূৰ্ত্তি ও সেই লিঙ্গমুক্তির মধ্যে চন্দ্রশেখর ঈশ্বরকে রাখিবে ; ও আকাশে লিঙ্গ ও হংসন্ধপী ব্ৰহ্মাকে রাখিবে ও লিঙ্গের অধোভাগে মধোমুখ বরাহরূপী বিষ্ণু এবং দক্ষিণে কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত ব্ৰহ্ম, এইরূপ নিৰ্ম্মাণ করিবে। মধ্যস্থলে মহ সমুদ্রে অবস্থিত মহাঘোর লিঙ্গকে রাখিয়া প্রতিষ্ঠা করিবে; তাহা হইলে শিবসাযুজ্য লাভ করিতে সমর্থ হইবে এবং দেব ক্ষেত্রপালকে ও পাশুপত প্রভুকে ভক্তিপূর্বক যথাবিধি নিৰ্ম্মাণ করিলে মানবগণ শবলোকে পূজিত হইতে সমর্থ হয় । ৪৮–৬৩। হইসপ্তষ্ঠিতম অধ্যায় সমাপ্ত। ബ:അബ് a { সপ্তসপ্ততিতম অধ্যায় । শৌনকাদি ঋষিগণ বলিলেন, হে স্থত! শিবলি প্রতিষ্ঠার ফল, শিবলিঙ্গ স্থাপনবিধি এবং শিবলিঙ্গের বিশেষ লক্ষণ, আমরা তোমার মুখে শ্রবণ করিয়াছি7 এক্ষণে মৃত্তিক প্রভৃতি রত্নপৰ্য্যন্ত দ্রব্যসমূহূদ্বারা শিবমন্দুি প্রস্তুত করিয়া মনুষ্যগণ যে ফললাভে সমর্থ হয়, তাহা তুমি আমাদিগের নিকট বল। স্থত বলিলেন, এ জগতে যে দেবের ভক্তগণ জ্ঞান লাভ করিয়া স্ত্রী পুত্র গৃহ প্রভৃতিতে আসক্ত হয় না, সে দেবদেব মহাদেবের গৃহাদিতে প্রয়োজন নাই; তথাপি ভক্তগণ ইন্দ্র, ব্রহ্মা প্রভৃতি দেবগণের পূজ্য, পরমেশ্বর মহাদেবের ইষ্টক কিংবা লোষ্ট্রদ্বারা মন্দির প্রস্তুত করিয়া স্বগীয় দেবধানে আরোহণ করিয়া গমন করে। বালকগণ ক্রীড়াচ্ছলে লোষ্ট্র, মুক্তিক অথবা ধূলিরাশি দ্বারা শিবমন্দির এবং শিবলিঙ্গ নিৰ্ম্মণপুৰ্ব্বক তাহার পুঞ্জ করিলেও শিবত্ব লাভ করে। সেই হেতু ধৰ্ম্মকামার্থ-সিদ্ধি-কামনায়ু ভক্তিসহকারে যত্বপূর্বক শিবালয় প্রস্তত করিবে । কেসর, নাগর, দাবিড় এবং অন্তপ্রকার শিবালয় প্রস্তুত করিয়া শিবলোকে পূজ্য হথ । ধে ব্যক্তি মহাদেবের কৈলাসাধ্য শিবমন্দির প্রস্তুত করে, সে ব্যক্তি কৈলাসপৰ্ব্বতের শিখর সদৃশ বিমানারোহণপুৰ্ব্বক পরমসুখে কালধাপন করে। যে মনুষ্য ভুক্তিপূৰ্ব্বক বিভবানুসারে শিব প্রীতিকামনায় উত্তম, ལ་སྒྱུ་མ, কিম্বা অধম, মন্দরাখ্য শিবালয় প্রস্তুত করে, সে মনুষ্য মন্দরপৰ্ব্বতসদৃশ, সৰ্ব্বতোমুখ, অপারোগণ পরিবৃত এবং দেবদানবগণেরও প্রাপ্য বিমানবীর আরোহণপূর্বক রমণীয় শিবলোকে গমন করিয়া ইচ্ছানুসারে উত্তম ভোগ্য বস্তু ভোগ করত জানলাভাত্তর গাণপত্য প্রাপ্ত হয় । ১—১১ । যে ব্যক্তি মেরুনামক শিবালয় প্রস্তুত করে, সে ব্যক্তি যে ফললাভ করে, সে ফল প্রধান প্রধান যজ্ঞসমূহ করিয়া ও পাওয়া যায় না; এবং সকল যাগযজ্ঞ, তপস্যা মানবিধ বস্তু দান ; তীর্থপৰ্য্যটন এবং বেঙ্গ পাঠ করিয়া যে ফল লাভ হয়, সে সমস্ত ফল লাভ করিয়। চিরকাল শিবতুল্য হষ্টচিত্তে কালধাপন করে। যে বুদ্ধিমান ব্যক্তি ভক্তিপূর্বক নিষধ নামক শিবালয় প্রস্তুত করে, সে ব্যক্তি বিলোকে গমনপূৰ্ব্বকপশবতুল্য সানন্দে কালযাপন করে। হে বিপ্রগণ! ষে যক্তি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট কল্যাণপ্রজ হিমালয় পৰ্ব্বতনামক শিবালয় প্রজড় করে, সে ব্যক্তি হিমালয় পৰ্ব্বততুল্য ঘামারোহণপূর্বক কল্যাণপ্রজ শিষ্ণুলাকে গমনানঞ্জর জ্ঞান লাভ করিয়া