পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8%r ফ্লেখ্য হয় কিন্তু তিনি পঞ্চভৌতিক দেহ ধারণপূৰ্ব্বক সুখভোগ করেন না। তিনিই বেদ ও নানাবিধ শাস্ত্রদ্বারা উপাস্তমান। এই সৰ্ব্বজ্ঞ বেদশাস্ত্রকে উপাসনা করেন না। এই সকলই তাহার অন্ন, তিনি স্বয়ং অন্নস্বরূপ হন না। সেই আত্মাই আপনাকর্তৃক রক্ষিত বস্তু ভোজন করেন, গ্রাণিগণের অন্ন কুত্রাপি নাই। আমিই প্রাণিদিগের প্রাণাপানগ্রস্থিম্বরূপ। আমিই সকলের নিয়ন্ত ও জ্ঞান সাধন । আমি অন্নময়াদিভেদে পঞ্চকোশস্বরূপ । এই ভূতাত্মা আমিই অন্নময় হইয়া ভক্ষিত ও অন্ন বলিয়া উক্ত হই । আমিই প্রাণময়, ইঞ্জিরাত্মা, মনোময়, সঙ্কল্লাত্মা, কালময়, সোম বিজ্ঞানময় এবং সদানন্দময় পরমেশ্বর মহেশ । সেই আমি সমুদয় জগং এবং বিচার করিলে পরতন্ত্র এই সকল জগং স্বতন্ত্র আমাতেই অবস্থিত এবং বিচার করিলে দ্বৈতভাব দূরে থাকুক, একত্বেরও উপলব্ধি হয় না। এইরূপ অমৃত অর্থাং মোক্ষের কথাই নাই, মৰ্ত্তাই নাই বলিয়া স্থির হয়। স্বল্পসাক্ষী, জাগ্ৰংসাক্ষী, স্বল্পজাগ্ৰং উভয় সাক্ষী, তুরীয় সাক্ষী, স্বযুপ্তিসাক্ষীও প্রতীত হয় না। যথার্থ বিদিত বেদ্য এবং নিৰ্ব্বাণও নাই। নিৰ্ব্বাণ, কৈবল্য, নিঃশ্রেয়ুস, অনাময়, অমৃত, ব্রহ্ম, পরমাত্মা, পরাপর, নির্বিকল্প নিরাভাস ও জ্ঞান এই দ্বাদশট পরমাত্মার পর্যায়বাচক মাত্র। একাগ্র অর্থাং "একমেবাদ্বিতীয়ং এই স্কুনযুক্ত অস্তঃকরণ যখন সমরসে বৰ্ত্তমান হয়, তঞ্চ জ্ঞান হয়, ইহা ভিন্ন সকলি অজ্ঞান ;—সন্দেহ নাই। পূৰ্ব্বোক্তরূপ প্রসন্ন বিজ্ঞান নিশ্চয়ই গুরুসাহায্যে টুৎপন্ন হয়। উক্তরূপ প্রসন্নবিজ্ঞান জন্মিবার পর অন্তঃকরণ রাগ, দ্বেষ, অমৃত, ক্রোধ, কাম ও তৃষ্ণদি পরামর্শস্ত হইলে তৎক্ষণাৎ মুক্তি হয়। পুরুষ অজ্ঞান মনে লিপ্ত থাকিলে তাহাকে মলিন বলা যায়। সেই অজ্ঞানমলের ক্ষয় হইলে মুক্তি হয়, অন্তথা কোটি জন্মেও হয় মা। একমাত্র জ্ঞানবাড়ীত পুণ্যপাপ-পরিক্ষয় হয় না, অতএব হে বেদবিদগণ ! মুক্তির নিমিত্ত কেবল জ্ঞানের অ করবে। জ্ঞানাভাসেই পুরুষের বুদ্ধি নির্মল হয়, অতএব তন্নিষ্ঠ ও তৎপরায়ণ হইয়া জ্ঞানাভ্যাস করবে। হে বিপ্রেশ্ৰগণ যে যোগিগণ একমাত্র জ্ঞানে তৃপ্ত হইয়া সঙ্গত্যাগ করিয়াছেন, তাহাদের আর কৰ্ত্তব্য নাই; যদি অস্ত কাৰ্য্য করেন, তবে প্তাহার প্রকৃত তত্ত্বৰিং নহেন। যেহেতু ব্রহ্মবিং প্রকৃত জীবন্মুক্ত ; জন্তএব তাছায় ইহলোক ও পরলোকে কিছুমাত্র কর্তব্য নাই। জ্ঞানতত্ত্বাবিং লিঙ্গ পুরাণ জ্ঞানলাভ করিতে পারেন। হে দ্বিজোত্তমগণ! যে ক্রোধহীন, বর্ণাশ্রমাভিমানী মোহবশত: কৰ্ত্তব্যে রত হয়, সে অজ্ঞানী, তাহাতে সংশয় নাই । অজ্ঞান সংসারের হেতু । শরীর পরিগ্রহণ সংসার। জ্ঞান,— মোক্ষের হেতু। যিনি আত্মাতে অবস্থিত, তিনিই মুক্ত। হে বিপ্রেন্দ্রগণ ! অজ্ঞান হইলেই নিঃসংশয় ক্রোধাগ্নি উপস্থিত হয় ; ক্রোধ, হৰ্ষ, লোভ, মোহ, দত্ত, ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম উপস্থিত হয়। ক্রোধাদিবশে মানবের অনুসংগ্রহ হয়। শরীর হইলেই ক্লেশ ; অতএব পণ্ডিত অবিদ্যা ত্যাগ করিবে। বিদ্যা দ্বারা অবিদ্যা ভ্যাগ করিয়া অবস্থিত যোগীর ক্রোধাদি ও ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মবিনষ্ট হয় ; ক্রোধাদি ক্ষয় হইলে পুনৰ্ব্বার সে আর শরীরের সহিত যুক্ত হয় না। ঈদৃশ পুরুষই ত্ৰিবিধ দুঃখবিবর্জিত হইয়া সংসার হইতে মুক্তিলাভ করে। এইরূপ জ্ঞানব্যতীত ধ্যান হয় না । হে দ্বিজৰ্ষভগণ ! ধ্যানপরায়ণ ব্যক্তির গুরুসম্পর্কে জ্ঞান হয়, কেবল শব্দমাত্রে প্রকৃত জ্ঞান হয় না। ধ্যানকারী চতুর্হি অৰ্থাৎ তৈজস বিশ্ব প্রাজ্ঞ ও তুরীয় রূপ জ্ঞান করিয়া ধ্যান অভ্যাস করিবে। অগ্নি যেমন শুষ্ক কাঠসমূহ দগ্ধ করে সেইরূপ জ্ঞানারি সহজ আগন্তুক অস্থি এবং বাকুসমূদ্ভুত পাপসমূহ দগ্ধ করে । জ্ঞানভিন্ন সৰ্ব্বপাপবিনাশক আর কিছুই নাই। অতএব সৰ্ব্বসঙ্গবিবর্জিত হইয়া সৰ্ব্বদা জ্ঞানাভ্যাস করিবে । জ্ঞানীর সকল পাপ নিঃসংশয় জীর্ণ হয়। জ্ঞানী নানাবিধ পাপের সহিত ক্রীড়া করিলেও তাহাতে লিপ্ত হয় না । জ্ঞান যেমন, ধ্যানও সেইরূপ; অতএব সৰ্ব্বদা ধ্যান অভ্যাস করিবে । প্রথমে সবিষয় ও নিৰ্ব্বিষয় ধ্যান উক্ত হইয়াছে। শিবরহস্তাদিকথিত ষট্রপ্রকার ধ্যান অভ্যাস করিয়৷ চতুঃপ্রকার দশপ্রকার এবং ষোড়শ প্রকার ধ্যানকে সালম্ব নিরালম্বভেদে দুই প্রকারে অভ্যাস করিলে যোগীন্দ্রস্বরূপ হইয়া নিঃসংশয় মুক্তিলাভ করে। সাবলম্বধানে নিৰ্ম্মল স্বর্ণাকার ৰিপূম অগ্নিপ্রভ পীতরক্তসিতকোটিবিচ্যুৎপ্ৰভাসম্পন্ন শিবমূৰ্ত্তি চিন্তা করিবে এবং নিরালম্বধানে প্রযত্বপূৰ্ব্বক চিত্তকে ব্ৰহ্মরঞ্জস্থ করিয়া শ্বেত কৃষ্ণ পীত কোনরূপের স্মরণ না । করিলে ব্রহ্মবিৎ হওয়া যায়। অহিংসক, সত্যবাদী অস্তেরী, পরিগ্রহ-পরামুখ, ব্রহ্মচারী, দৃঢ়ব্ৰত, সন্তোষশীল, শৌচযুক্তও স্বাধ্যায় নিরত আমার ভক্ত গুরুসম্পর্কজ ধান অভ্যাস করবে। ধ্যাত চিত্ত স্থাপন করিয়া বিষয়াস্তুর বোধ করবে না, ষোগের অভিমান BBBBB BB DDS DBBD DD DD DDD DS BBB BB BBB BS AAAAAA