পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 বল বীর্ধশালী ভূতপতি ; আপনাকে নমস্কার। আপনি সংহারকওঁ পিঙ্গলবণ, অব্যয়, নখর, গঙ্গসলিলধারী, জগদাধার, গুণময়, ত্র্যম্বক, ত্রিনেত্র, ত্রিশূলধারী, মুখবিধাতা, অগ্নিস্বরূপ, পরুমাত্মা, শঙ্কর, বৃষধ্বজ,গণপতি, দণ্ডহস্ত, কালাস্তক, পাশধারী, বৈদিক মন্ত্রোক্ত “প্রধান উপান্তদেব, অনন্ত ; আপনাকে | নমস্কার। হে দেব! ভূত, ভবিষ্যং, বৰ্ত্তমান,"স্থাবর, জঙ্গম সকলই আপনার দেহ হইতে উৎপন্ন হুইয়াছে। আপনিই পালন ও ধ্বংস করিতেছেন। হে ভগবান। আপনি প্রসন্ন হউন । ৩৭–৪২। মনুষ্যগণ অজ্ঞান বা জ্ঞানপূর্বক যে কোন কৰ্ম্ম করে, ভগবন! আপনিই যোগমায়াবলে সে সকল কাৰ্য্য করাইতেছেন। মুনিগণ হৃষ্টান্তঃকরণে এইরূপে দেবদেবের স্তব করিয়া আমরা আপনার প্রকৃত মূৰ্ত্তি দেখিতে ইচ্ছা করি, এইরূপ প্রার্থনা করিলেন। অনন্তর শঙ্কর প্রসন্ন হইয়৷ স্বরূপ ধারণপূর্বক তদর্শনার্থ স্তাহাদিগকে দিব্য দৃষ্টি প্রদান করিলেন। দেবদারুবনবাসী মুনিগণ, লব্ধদৃষ্টি দ্বারা ত্র্যম্বককে অবলোকন করিয়া পুনরায় ঈশানের স্তব করিতে আরম্ভ করিলেন । ৪৩—৪৬। একত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। দ্বাত্রিংশ অধ্যায় । আপনি দিগম্বর, কৃতান্ত, ত্রিশূলী, হুন্দর,ফ্রোল, করালবদন, গজাননমস্তকানন্দকারী, রুদ্র, যজমানরূপী, সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত, প্রণতাত্মা, নীলজটাজুটধারী, শ্রীকণ্ঠ, নীলকণ্ঠ, চিতাভস্মশোভিত-দেহ, দেব ! আপনাকে নমস্কার। তুমি দেবগণমধ্যে ব্রহ্ম, রুদ্রগণমধ্যে নীললোহিত, সৰ্ব্বভূতের আত্ম, তুমিই সাজ্যোক্ত পুরুষ, পর্বতমধ্যে সুমেরু; নক্ষত্রগণমধ্যে চন্দ্র, ঋষিগণমধ্যে বসিষ্ঠ, দেবগণমধ্যে ইন্দ্র ও বেদগণমধ্যে ওঁঙ্কার; তুমি সামগীতমধ্যে শ্রেষ্ঠ সামগান। হে পরমেশ্বর! তুমি আরণ্য-পশুমধ্যে সিংহ গ্রামা-পশুমধ্যে ল, আপনি লোকপূজিত ভগবান। ১-৭ । আপনি সৰ্ব্বত্র বর্তমান থাকিলেও যে যে রূপ অবলম্বন করবেন। আমরা গ্রহ্মোক্ত বাক্যানুসারে সেই রূপেতেই আপনাকে দেখিতে পাইৰ কাম, ক্ৰোধ, লোভ, বিষাদ, মদ, এই সকল বুৰিতে ইচ্ছা করি, হে পরমেশ্বর প্রসন্ন হুইয়া আমাদিগকে বুঝাইয়া দেন। ছে দেব! আপনি সংবজ্ঞা; মহাপ্রলয়কাল উপস্থিত হইলে আপনি ললাটে হস্তাপর্ণ করিয়া অগ্নি উৎপাদন করেন। লিঙ্গপুরাণ। জিজ্ঞাসান্তে শঙ্করপ্রসঙ্গে মুনিগণ! আপনাবুই সমস্ত জানিতে পারলেন) সেই অগ্নি ও অগ্নিশিখাদ্ধার সমস্ত জগৎ বেষ্টিত হইল । সেই শৈবললাটেখিত অগ্নি হইতে কাম, ক্ৰোধ, লোভ, মোহ, দত্ত, উপদ্রব প্রভৃতি বিস্তৃতাগ্নির উৎপত্তি হয়। আপনার ললাটোখ বহিদ্বারা মনুষ্য, চরাচর ভূতসমূহ ও অন্তান্ত সমস্ত প্রাণিগণ দগ্ধ হয়। হে সুরেশ্বর ! দহনকালে আপনিই আমাদিগের পরিত্রাতা। ৮-১৩ । হে মহেশ্বর ! মহাভাগ প্রভে! হে শুভদর্শিন ! আপনি লোকহিতের জন্ত সোমরূপে ভূতগণকে শীতল করেন। হ নাথ ! আপনি আজ্ঞা করুন, আমরা আপনার আজ্ঞা পালন করিব ; সহস্রকোটি ভূত ও শতকোটি রূপেতেও আমরা আপনার অন্ত নির্ণয় করিতে পারি ন ; হে দেব! আপনাকে নমস্কার । ১৪-১৬ । দ্বাত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত । ত্রয়স্ক্রিপশ অধ্যায় । নন্দী কহিলেন, অনন্তর ভগবান মহেশ্বর, মুনিদিগের স্তব শ্রবণ করিয়া সন্তোষ লাভপূৰ্ব্বক এই বাক্য বলিলেন;–তোমাদিগের কীৰ্ত্তিত এই স্তব যে পাঠ করিবে এবং শ্রবণ করিবে বা ব্রাহ্মণগণকে শ্রবণ করাইবে, সেই ব্রাহ্মণ, গাণপত্যপদ প্রাপ্ত হইবে । হে মুনিসত্তমগণ! তোমরা মদ্ভক্ত ; তোমাদিগের হিতার্থ পুণ্য-কথা বলিতেছি শ্রবণ কর। সমস্ত স্ত্রীলিঙ্গ আমার দেহজ প্রকৃতি দেবীস্বরূপ ; এবং হে বিপ্রগণ! সমস্ত পুংলিঙ্গ আমার দেহসমুদ্ভব পুরুষ স্বরূপ । এই উভয় দ্বারাই আমি স্বষ্টি করিয়া থাকি, তাহাতে সংশয় নাই। অতএব দিগম্বর সৰ্ব্বোত্তম বালক ও উন্মত্তের স্তায় চেষ্টাবান, মদ্ভক্ত ব্ৰহ্মবাদী যতীদিগকে কদাচ নিন্দ করিবে না। যে ব্রাহ্মণের ভস্মাচ্ছাদিতকলেবর, যাহারা ভষ্মম্বারা পাপ দূরীভূত করিয়াছেন, যাহারা খোক্তব্রতচারী, জিতেক্রিয়, ধ্যানপরায়ণ, শিবভক্ত উৰ্দ্ধরেত হইয় সংযত বাক্যমন-কায়দ্বারা মহাদেবের অর্চনা করেন, তাহারা চির কান্ধের জষ্ঠ রুদ্রলোকে গমন করেন। অতএব লিঙ্গরূপী মহাদেবের কৃচ্ছ্বসাধ্য শ্রেষ্ঠ ব্রত অথবা তদূত্ৰতাবলম্বী তন্মাচ্ছাদিত-কলেবর মুণ্ডিতমস্তক ব্রহ্মচারিদিগকে নিন্দ বা লক্ষন করা বিদ্বান ব্যক্তিनिळद्र क्ॐदा नग्न । ,५-० । मैंशज्ञ हेथ् ब পরলোকে জাগ্ৰহিত প্রার্থনা করেন, তাহারা কদাচ