পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভt যেন শিম্ভুক্তদগের প্রতি হাঙ্গ বা অপ্রিয় বাক্য প্রয়োগ না করেন, কারণযে দুৰ্বত্ত র্তাহাজের নিন্দ করে র্তাহারা প্রকারাস্তরে শিবেরই নিন্দ করিয়া থাকে। যিনি করেন না, তিনি মহাদেবকেই পূজা করিয়া থাকেন । এইরূপে মহাদেব ভস্মাচ্ছাদিতদেহ মহাযোগীরূপ ধারণ করিয়া, লোকহিতার্থ যুগে যুগে ক্রীড়া করিয়া থাকেন। এই ব্রত অবলম্বন করিলে, তোমাদিগেরও মঙ্গল ও সিদ্ধি লাভ হইবে। মহাভয়প্রণাশ-হেতু শিষোক্ত অনুপম পরম পদ বিদিত হইয়া, চিত্ত হইতে সংসারমুখ ও মোহ দূরীকৃত করত ঋষিগণ অবনত মস্তকে মহাদেবকে তৎকালে প্রণাম করিলেন। তৎপরে ঋষিগণ নদীবাক্য শ্রবণে প্রীতি লাভ করিয়া, বিশুদ্ধ কুশপুপমিশ্রিত মুগন্ধি মহাকুস্তজলে মহেশ্বরকে স্নান করাইলেন এবং সুস্বরময় স্তোত্র ও হুঙ্কার গান করিতে লাগিলেন। হরগৌরী-রূপী, সাংখ্যযোগ-প্ৰবৰ্ত্তক, মেম্বরূপী কৃষ্ণবাহনারূঢ়, গজচৰ্ম্মপরিধান, কৃষ্ণসার-চৰ্ম্মেত্তিরীয়, সপ-যজ্ঞোপবীতধারী মহাদেবকে নমস্কার । ১০—১৭ । যিনি সুরচিত বিচিত্র কুণ্ডল, উৎকৃষ্ট মাল্য ধারণ ও ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম পরিধান করিতেছেন, অতি যশস্বী সেই শঙ্করকে নমস্কার । অনন্তর, মহেশ্বর প্রীত হইয়া, তাহাদিগকে বলিলেন ; —হে সুব্রত তপস্বিগণ । তার পর ভূগু, আমি তোম - দিগের তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়াছি । তোমরা বর গ্রহণ কর । তারপর ভূগু অঙ্গিরা, বসিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, সুকেশ, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, মরীচি,কগুপ, কং, মহাতপা সম্বৰ্ত্ত প্রভৃতি মুনিগণ মহাদেবকে প্রণাম করিয়া এই কথা বলিলেন, হে প্রভো! কিরূপে ভষ্মম্বারা দেহ পবিত্র হয়, নগ্নত্ব কয় প্রকার, প্রতিপথগামিত্ব বা কাম্যকৰ্ম্মসেৰিত্বই বা কিরূপ, এই পুৰ্ব্বোক্ত চতুষ্ট্ররমধ্যে কোনগুলি সেব্য বা অসেবা, তাহ জানিতে ইচ্ছা করি। তার পর ভগবান মহেশ্বর তাহাদিগের বাক্য শ্রবণ করিয়া সকল ঋষিগণকে অবলোকন করত বলিলেন । ১৮–২৪ ॥ ত্রয়ন্ত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। চতুস্ত্রিংশ অধ্যায় । শ্ৰীভগবান বলিলেন, আজ আমি ভাস্কানাদিমহাত্মকথার সার অংশ তোমাদিগকে বলিব। সোমকরণ অগ্নি এবং নিত্য অগ্নিসংযুক্ত সোম, এই উভয়ই আমি। ভারতবর্ষাপ্রয়ে উৎপন্ন কৰ্ম্মফল অগ্নিই আনয়ন করিয়া ধাকেন। অগ্নি-স্থাবরঞ্জঙ্গম 8૧ ত্মক, উত্তম ও পবিত্র জগৎকে বারংবার দগ্ধ ও ভস্মসাং করিয়াছেন। সোম ভষ্ম দ্বারা সামর্থ্যবৰ্দ্ধিত করিয়া, ভ্রাতৃগণকে উীলিত করেন। যে ব্যক্তি অগ্নির উপাসনা করিয়া তিলক সেবা করিবে, সে ব্যক্তি আমার ভস্ম বার সকল পাপ হইতে বিমুক্ত হইবে। ਢਾਬ ਨੂੰ করিলে শোভা বৃদ্ধি হয়, শুভ ভাবন। উপস্থিত হয় এবং সৰ্ব্বপাপ ভস্মীভূত হয়; এই জন্তই ইহার নাম ভস্ম হইয়াছে। পিতৃগণ উপায়ী, দেবগণ সোমসস্তৃত, এই স্থাবরজঙ্গম সমস্ত জগৎ অগ্নি ও সোমাত্মক ॥১–৬। আমি অতি-তেজস্বী অগ্নি এবং সোমদেব অস্বিকীস্বরূপ। অগ্নি স্বরূপ আমি এবং সোম এই উভয়ে সাক্ষাং পুরুষ ও প্রকৃতি । হে মহাভাগ ঋষিগণ ! এই জন্যই ভস্ম আমার বীর্য্য বলিয় বিখ্যাত। আমি শরীর দ্বারা স্ববর্ঘ্য ধারণ করিয়া অবস্থিতি করি । তদবধি অশুভ লোক ও স্থতিকাগৃহ ভস্ম দ্বারাই রক্ষিত হয়। ভস্মলেপন দ্বারা বিশুদ্ধাত্মা, জিত-ক্ৰোধ, জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিগণ আমার সমীপে চিরকালের জন্ত আগমন করেন। পাশুপতব্রত, যোগশাস্ত্র এবং সাংখ্যশাস্ত্র আমাকর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। কিন্তু তন্মধ্যে সৰ্ব্বোত্তম পাশুপতত্রত অগ্রে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। অনন্তর, আমি ব্রহ্মা দ্বারা অবশিষ্ট আশ্রমিগণকে স্বজন করাইয়াছি। লজ্জামোহ-ভয়াত্মক সমস্ত স্থষ্ট পদার্থই আমি স্বজন করিয়াছি। দেবতা, মুনিগণু এবং এই জগতের সমস্ত লোকই নগ্ন হইয়৷ জন্ম গ্ৰীণ করেন। বাহারা ইঞ্জিয় জয় করিতে অসমৰ্থ, র্তাহারা বস্ত্রাচ্ছাদিত হইলেও নগ্ন এবং র্যাহারা ইক্রিয় জয় করিয়াছেন, তাহারা বস্ত্রগুপ্ত হইলেও অনগ্ন। অতএব বস্ত্র নগ্নতা বা অনগ্নতার কারণ নয়। ক্ষম, ধৈর্য্য, অহিংস, বৈরাগ্য, মান এবং অবমানুেতুল্য জ্ঞান, এই সকলই প্রকৃত ও উত্তম আবরণ । যে ব্যক্তি ভস্ম দ্বারা পবিত্রাঙ্গ হইয়া মনে মনে মহাদেবের ধ্যান করেন, অথবা সহস্ৰ অকাৰ্য্য করিয়াও ভস্ম দ্বারা আত্ম শরীর পুত করেন, তাহা হইলে অগ্নি যেমন তেজঃ স্বারা বন দহন করে, তেমনি ভস্মও তাহার সমস্ত অকাৰ্য্য দগ্ধ করে। অতএব যত্বপর হইয়া যে ব্যক্তি ত্রিসন্ধ্যায় ভস্মস্নান অর্থাৎ ভষ্ম-দ্বারা গাত্র পবিত্র করেন, তিনি গাণপত্যপদ প্রাপ্ত হন। বিবিধ যজ্ঞ সম্পাদন ও উত্তম ব্রত গ্রহণপূর্বক র্যাহারা মহাদেবের লীলাবিগ্রহ ভাবনা করত র্তাহার চিস্ত করেন, তাহার বামমার্গে মোক্ষ লাভ করেন ; আর র্যাহারা দক্ষিণমার্গে কাম্যক করেন, তাহারা অণিমা, গরিমা, লখিম ইচ্ছামত্রেই অলিসিদ্ধি, প্রাচুর্য, স্ট্রি