পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । পান করিয়ু দিবারাত্র জপ, হোম ও মন্ত্র পাঠ করত লিঙ্গসমীপেধ্যান করে, তাহার মৃত্যুভয় থাকে মা দধীচ মুনি তাহার সেই বাক্য শুনিয়া তপোনুষ্ঠানপুৰ্ব্ব মহাদেবকে আরাধনা করিয়া, বল্লাস্থিত্ব,aঅবধ্যত এবং অদীনতা লাভ করেন। মুনিসত্তম দধীচ এইরূপে বজ্ঞাস্থিত্ব ও অন্তের অবধ্যতা প্রাপ্ত হইয়া ক্ষুপরাজার মস্তকে পদাঘাত করিলেন। ক্ষুপ ভূপতিও তাহার -বক্ষঃস্থলে বজ্র নিক্ষেপ করিলেন । ১৭-২১। বজ্ৰময় শরীর পরমেশ্বরের প্রভাবে ক্ষুপপ্রক্ষিপ্ত বঞ্জ দধীচ মুনির প্রাণনাশক হইল না। তখন পরাজা ধাঁচ মুনির অবধ্যত্ব, অদীনতা, ও প্রভাব দর্শন করিয়া পদ্মাক্ষ, ইস্রামুজ মুকুদের আরাধনায় প্রবৃত্ত చిa -లిట ! পঞ্চত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। ঘটুত্রিংশ অধ্যায় । অনন্তর জী-ভূমি-সমন্বিত, শ্ৰীমান, শঙ্খচক্ৰগদাধর, কিরীট, পদ্মহন্ত, সৰ্ব্বালঙ্কারভূষিত, পীতাম্বর, দেবদৈত্যগণবেষ্টিত গরুড়ধ্বজ ভগবান পুরুষোত্তম, তাহার পুজায় সন্তুষ্ট হইয় তাহাকে দিব্য দশম প্রদান করিয়াছিলেন। তিনি দিব্যচক্ষু দ্বারা দেবদেবজনাৰ্দ্দনকে অবলোকন করিয়া প্রণাম করত স্তুতিবাক্যে গরুড়ধ্বজের স্তৰ করিতে আরম্ভ করিলেন ;–তুমি সকলের আদি, তোমার আদি নাই, তুমি প্রকৃতি, তুমি জনাৰ্দ্দন। তুমি পুরুষ, তুমি জগতের নাথ, তুমি বিষ্ণু, তুমি বিশ্বেশ্বর, বিশ্বমূৰ্ত্তি, পিতামহ ব্ৰহ্মাও তুমি; হে জনাৰ্দ্দন ! তুমি আদ্য, প্রথম জ্যোতিঃ; হে ক্রীপতে ! হে ভূপতে! হে প্ৰভো! তুমিই পরম ধাম পরমাত্মা, তমোময় রুদ্র তোমারই ক্রোধ হইতে উৎপন্ন, তোমার অনুগ্রহেই জগৎকৰ্ত্তা রজোময় পিতামহ এবং সত্ত্বগুণময় বিষ্ণু উৎপন্ন হইয়াছেন। হে কলিমূৰ্ত্ত! হে হরে! হে বিষ্ণো ! হে লারায়ণ! হে জগন্ময়! হে বিশ্বমুৰ্ত্তে ! হে মহেশ্বর ! মহা অহঙ্কার এবং সমস্ত ইঞ্জিয়াদি, সৰ্ব্বত্রই আপনি অধিষ্ঠিত আছেন। ১–১ হে মহাদেব ! হে জগন্নাথ ! হে পিতামহ ! হে জগন্থগুরো! হে দেবদেবেশ । আমি আপনার শরণাগত, প্রসন্ন হউন। হে বৈকুণ্ঠ! হে শৌরে। হে ধৰ্ব্বজ্ঞ! হে বাস্থদেৰ ! α यक्षकूल ! 6र नकर्तन ! cश् बशअन्न ! श् মহাবল! হে পুরুষোত্তম! হে সৰ্ব্বত্রনিরুদ্ধ। হে ৪৯ মহাবিষ্ণো ! হে সদাবিকে! তোমাকে নমস্কার । হে বিষ্ণে! ক্ষীর-সমুদ্রের মধ্যে দিব্য প্রকৃতি এবং সহস্রফণসংযুক্ত তমোময়মূর্তি অনন্ত তোমার আসন। হে দেবেশ ! হে সুব্রত ! ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য, সেই আসনের পাদস্বরূপ। মৃগু পাতাল তোষ্ণু পাস্বরূপ, বা তোমার জঘনদেশ, সপ্ত সমুদ্র তোমার বস্ত্র, দিকৃ সকল তোমার মহাভুজ । হে বিভো! স্বৰ্গতোমার নাতি, বায়ু তোমার নাসিক চন্দ্র ও স্বৰ্য্য তোমার চক্ষুদ্ৰা, পুকুরাদি যেখসকল তোমার কেশ, নক্ষত্রাদি তোমার কণ্ঠভূষণ ; আমি কিরূপে তোমার স্তব করিতে সমর্থ হইব ? কিয়পেই বা পুরুষোত্তম আপনাকে পূজা করিব। ১০-১৭ হে নারায়ণ ! আপনাকে নমস্কার। আমি শ্রদ্ধাসহকারে যাহা করিলাম, যাহা শুনিলাম এবং আপনার যে যশ কীৰ্ত্তন করিলাম, হে ঈশ! যদি তাহাতে কোন দোষ থাকে, আপনি তাহা ক্ষমা করিবেন। যে ব্যক্তি সৰ্ব্বপাপ-প্ৰণাশন ক্ষুপরচিত বৈষ্ণবস্তোত্র ভক্তিপূৰ্ব্বক পাঠ বা শ্রবণ করিবে, অথবা ব্রাহ্মণদিগকে শ্রবণ করাইবে, সে ব্যক্তি বিষ্ণুলোকে গমন করিৰে। ১৮–২, ক্ষুপ ভূপতি দেবাদিসংস্থত অজেয় নারায়ণকে পুজা ও স্তুতি করিয়া ভক্তিপূর্বক অবলোকন ও অবনতমস্তকে প্রণাম করত নিবেদন কৰিলেন—হে ভগবন্‌। দধীচ নামেতে বিখ্যাত ধৰ্ম্মাত্ম, বিনীতস্বভাব এক জন ব্ৰাহ্মণ আমার পরম বন্ধু ছিলেন হে বিষ্ণো ! হে বিশ্ব! হে জগৎপতে! সকলের অবধ্য, শিবারাধনতৎপর সেই দধীচ সভামধ্যে অবজ্ঞাপূর্বক আমার মস্তকে বামপদাঘাত করিলেন এবং সগৰ্ব্বে বলিলেন, আমি কাহাকেও ভয় করি না। হে জগদীশ্বর। আমি তাহাকে জয় করিতে ইচ্ছা করি। হে জনাৰ্দ্দন ! যাহাতে আমার মঙ্গল হয়, তাহ করুন। শৈলাদি বলিলেন, জলস্তর হরি দধীচির অবধ্যত্ব এবং মহেশ্বরের অতুল প্রভাব স্মরণ করিয়া ক্ষুপ ভূপতিকে বলিলেন, হে রাজেন্দ্র। শিবের আশ্রয় গ্রহণ করিলে ব্রাহ্মণদিগের আর কোম ভয় থাকে । না. বিশেষতঃ নীচ ব্যক্তিরও রুস্তাশ্রয়ে কোন ভয় নাই, ধীচের কথা আর কি বলিৰ ২১-২৮ । অতএব হে মহাভাগ ভূখতে! কোন মতেই তোমার বিজয়লাভের সস্তাবনা নাই। দেবগণ এবং আমারও বিপ্রশাপ হইবে, সেইজন্তু আমি নিতান্ত কুখিত । হ রাজেশ্র! দক্ষযজ্ঞে ব্ৰাহ্মণশাপে আমার ও দেবগণের মৃত্যু ও উত্থান হইবে। অতএব হে রজেন্দ্র } হে ৰিপ্লেগ্রী ! গীটবিজয়ের জন্ত আমি সৰ্ব্বতোভাব