পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। মহাদেবীপ্ত, উমার সহিত তথার বাস করিতে প্রার্থন করিয়াছিল । সেই জন্তু শঙ্কর, উম, নদী ও প্রমথাদিগণের সহিত সমাগত হইয় সেই মঙ্গর পর্বতে বাস করেন ; কাচও পরিত্যাগ করেন না। ক্ৰৌঞ্চদ্বীপে ক্রৌঞ্চ প্রভৃতি সপ্ত পৰ্ব্বত আছে। তাহাজের নাম প্রথম-ক্ৰৌঞ্চ, বামনক, কারক, অন্ধকারক, দিববৃত, বিবিন্দপৰ্ব্বত, পুণ্ডরীক পৰ্ব্বত, ইন্দুভিশ্বন পৰ্ব্বত, এই রত্নময় পৰ্ব্বত সকল ক্ৰৌঞ্চ দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত । ১—১৬ । এইরূপ শাকদ্বীপেশু সাতটা পৰ্ব্বত আছে। তাহদের বিষয় তোমর অবগত হও ; উদয় পৰ্ব্বত, রৈবত, শুামক, বাজত, সুশোভন, আম্বিকেয়, সৰ্ব্বৌষধিযুক্ত রম্য পৰ্ব্বত, বায়ুব উৎপত্তিস্থান কেসরা পৰ্ব্বত ; শাকদ্বীপে এই সপ্ত । পুষ্কর দ্বীপে এক পৰ্ব্বত আছে,—তাহার নাম মহাশিল । বিচিত্র মণিমর কৃটে সমুদ্ভূিত শিলাজালে সেই পৰ্ব্বত অতিশয় শোভাসম্পন্ন। মহাশিল পৰ্ব্বত উৰ্বদিকে পঞ্চাশং সহস্ৰ ধোজন উচ্চ এবং অধোদিকে চতুস্ত্রিংশং সহস্ৰযোজন। এই দ্বীপের অৰ্দ্ধভাগে মানসোত্তর নামক পৰ্ব্বত প্রতিষ্ঠিত আছে। এই পৰ্ব্বত বেলভূমির সমীপে অবস্থিত হইয়া নবেদিত চন্দ্রের স্থায় শোভা পাইতেছে। তাহার উর্বে পঞ্চাশং সচত্র যোজন। সেই রূপই পার্থে মণ্ডলাকারে বিস্তীর্ণ। তংপরে মাস নামক পৰ্ব্বত। সন্নিবেশের বিভিন্নতবশতঃ এক মহা সানু দুইভাগে বিভক্ত হইষাছে। সেই দ্বীপে মানস পৰ্ব্বতের মণ্ডলসমীপে পবিত্র রজতময় দুইটি জনপদ আছে। মানস পৰ্ব্বতের বহির্ভাগে মহাবীত বর্ষ। তাহার মধ্যে একটি স্থানের নাম ধাতকীখণ্ড বলিয়া প্রসিদ্ধ। পুষ্কর দ্বীপ বক্ত উদকসস্তুত সমুদ্রসমূহে পরিবৃত এবং চারিদিকে অতি বিস্তীর্ণ ও অতি মনোহর। এইরূপে দ্বীপসমূহ সাত সাতটা পৰ্ব্বতে পরিবৃত। দ্বীপের অনন্তর যে সমুদ্র, সেইটা সপ্তম সমুদ্র বলিয়া কথিত। উদকসমূদ্র পুন্ধর দ্বীপকে চারিদিকে বেষ্টন কুরিয়া অবস্থিত। তাহার পরে মহৎ জনপদ বর্তমান আছে। তাহার ভূমি কাঞ্চনময় ও দ্বিগুণ। তাহ এক শিলাসদৃশ অখণ্ড । তাহার পরে এক পৰ্ব্বত আছে। তাহার পরিধি সীমাস্বরূপ সেই পৰ্ব্বত এক অংশে প্রকাশিত ও অন্ত অংশে অপ্রকাশিত। তাহার নাম লোক্ষ+ লোক বলিয়া খ্যাত । হে দ্বিজোত্তমঙ্গল ! ষে পর্বত্ত্ব সেই লোকালোক পৰ্ব্বতের বিস্তৃতির সীম, সেই অবধি পৃথিবীরও সীমা। এই পৰ্ব্বতের উচ্চতা A $. দশ সহস্ৰ যোজন, সেই পরিমাণে ইহার বিস্তৃতি। সেই লোকালোক গিরির দ্বক্ষণ অৰ্দ্ধভাগ রৰি-রশ্মিজলে প্রকাশিত থাকে এবং পরের অৰ্দ্ধভাগ নিত্য তমোরাশিতে আবৃত থাকে। এই জন্য পৰ্ব্বতের নাম লোকালোক বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছে। এইরূপ সংক্ষেপ সমস্ত বৰ্ণন করিলাম। হে মুনিসত্তমগণ! এক্ষণে স্বৰ্য্য হইতে পুথিবীর বৃত্তান্ত এবং ধ্রুবলোক হইতে স্বর্গের বৃত্তান্ত বর্ণন করিতেছি শ্রবণ কর। আবহ. প্রভৃতি বায়ুর সপ্তনেমি নিবিষ্ট আছে। তন্মধ্যে প্রথমামুক্রমে আবহু,প্রবহ, অনুবহ, সংবহ, বিবছ, তাহার উদ্ধে এবং পরাবহ তাহার উদ্ধে পরিবহ। হে বিপ্রগণ! এই বায়ুর অধিকৃত স্থানে ক্রমান্বয়ে বলাহকগণ, সূৰ্য্য, চন্দ্র, নক্ষত্র ও রাশিগণ, গ্রহসমূহ, সপ্তর্ষিমণ্ডল, এবং ধ্রুবনক্ষত্র প্রভৃতি এক একটা করিয়া প্রত্যেকে অবস্থান করে। মহীর পৃষ্ঠ হইতে পঞ্চদশ যোজন উৰ্দ্ধে ধ্রুব লোক, উৰ্দ্ধে পঞ্চদশ নিযুক্ত যোজন ভূমিতল হইতে এক নিযুত যোজন উৰ্দ্ধে স্থৰ্য্য মণ্ডল, তাহার উপরিভাগে ভাস্করের ষোড়শ সহস্র রথ বিদ্যমান আছে। ভূতল হইতে চতুরশীতি সহস্ৰ যোজন উপরিভাগে মেরু, ধ্রুবলোক হইতে কোটি যোজন উপরে মহলোক। হে দ্বিজগণ । এইরূপ মহলোক হইতে দুই কোটি যোজন উদ্ধে জনলোক। জনলোক হইতে চারিকোটি যোজন উৰ্দ্ধে তপোলোক। প্রাজাপত্য লোক হইতে ছয়লক্ষ যোজন পরিত্যাগ করিয়৷ ব্ৰহ্মলোক। হে দ্বিজগণ ! এই ছয়লোক ব্ৰহ্মাণ্ডমধুে পুণ্যময় বলিযা কথিত আছে । সপ্ততলের অধোভাগে কোটি নরক বিদ্যমান আছে; এবং ঘোরাদি মায়া পৰ্য্যস্ত অষ্টবিংশতি সংখ্যক নরঙ্কও তথায় বিদ্যমান আছে। পাপিগণ স্ব স্ব কৰ্ম্মানুসারে সেই নরকসমূহ ভোগ করিয়া থাকে। রৌরবাদি নরকও তথায় বিদ্যমান আছে । তাহদের প্রত্যেকের কথা বলা আছে । তাঁহার মধ্যে পাঁচটী নরকের কথা বিশেষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। ইহার পুৰ্ব্বে অণ্ডের বিষয় ও তাহার আচরণের বিষয় বর্ণন করা হইয়াছে। এক্ষণে হিরণ্যগৰ্ভ-সর্গ প্রসঙ্গক্রমে বিস্তাররূপে বর্ণন করিতেছি। প্রকৃতি সর্বগামী বলিয়। কথিত। ঈদৃশ অশু সহস্রকোট। উৰ্দ্ধভাগ অধোভাগ ও পার্শ্ব, সৰ্ব্বত্রই অবস্থিত। এই সমস্ত অগুমধ্যে চতুর্দশ ভুবন । হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ!. এক মহেশ্বর সকল অণ্ডের হেতু অণ্ডে, অণ্ডের বহির্ভাগে এবং অণ্ডের আবরণসমূহে তমঃপূর্ণ। তাহাতে অষ্টমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। পরমাত্মা গুরুপ