পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রোণ মন Σ (ζώζ যে-ভাষা রক্তের মৰ্ম্মরে আমার হৃৎপিণ্ডে বাজে, যা আলো-অন্ধকারের নিঃশব্দ আবৰ্ত্তন-ধ্বনি, সেই ভাষা ওর পত্ৰমৰ্ম্মরে আমার কাছে এসে পৌছয়। সেই ভাষা বিশ্বজগতের সরকারী ভাষা । তার মূল বাণীটি হচ্চে, “আছি, আছি ; আমি আছি, আমরা আছি।” সে ভারি খুসির কথা । সেই খুসিতে বিশ্বের অণুপরমাণু থর্থর করে র্কাপ চে । ঐ বটগাছের সঙ্গে আমার আজ সেই এক-ভাষায় সেই এক-খুসির কথা চলেচে । ও আমাকে বলচে, “আছ হে বটে ?” আমি সাড়া দিয়ে বল চি, “আছি হে মিতা!” এমনি করে “আছি”তে “আছি”তে একতালে করতালি বাজচে । ঐ বটগাছটার সঙ্গে যখন আমার আলাপ স্বরু হ’ল তখন বসন্তে ওর পাতাগুলো কচি ছিল ; তার নানা ফাক দিয়ে আকাশের পলাতক আলো ঘাসের উপর এসে পৃথিবীর ছায়ার সঙ্গে গোপনে গলাগলি করত ।