পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Ꮌ©Ꮼ লিপিকা তারপরে আষাঢ়ের বর্ষা নামল ; ওরও পাতার রং মেঘের মত গম্ভীর হয়ে এসেচে । আজ সেই পাতার রাশ প্রবীণের পাক বুদ্ধির মত নিবিড়, তার কোনো ফাক দিয়ে বাইরের আলো প্রবেশ করবার পথ পায় না। তখন গাছটি ছিল গরীবের মেয়েটির মত ; আজ সে ধনীঘরের গৃহিণী ; যেন পৰ্য্যাপ্ত পরিতৃপ্তির চেহারা । আজ সকালে সে তার মরকত-মণির বিশনলী হার ঝলমলিয়ে আমাকে বললে, “মাথার উপর অমনতর ইটপাথর মুড়ি দিয়ে বসে আছ কেন ? আমার মত একেবারে ভরপুর বাইরে এস না !” আমি বল লেম, “মানুষকে যে ভিতর বাহির দুই বাচিয়ে চলতে হয়।” গাছ নড়েচড়ে বলে উঠল, “বুঝতে পারলেম না।” আমি বল লেম, “আমাদের দুটো জগৎ, ভিতরের আর বাইরের ” গাছ বললে, “সৰ্ব্বনাশ ! ভিতরেরটা আছে কোথায় ?” —“আমার আপনারই ঘেরের মধ্যে ।” —“সেখানে কর কি ?” —“সৃষ্টি করি।”