বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত ›ዓ4: হচ্চে একটা যেন মায়ার মধ্যে ছিলুম কিন্তু তবু এখনো সম্পূর্ণ ঘোর ভাঙেনি। কাৰ্ত্তিকেয়। আমার কি-রকম বোধ হচ্চে বলব ? তৃণের মধ্যে শর আছে, সেই শরের ভার বহন করচি, সেই শরের দিকেই মন বদ্ধ আছে, ভাব চি সমস্তই ঠিক আছে । এমন সময়ে কে যেন বল্লে, একবার তোমার চারিদিকে তাকিয়ে দেখ। চেয়ে দেখি শর আছে কিন্তু লক্ষ্য করবার কিছুই নেই। স্বর্গের লক্ষ্য চলে গেছে । বৃহস্পতি। কেন এমন হ’ল তার কারণ ত জানা চাই । ইন্দ্র। যে মাটির থেকে রস টেনে স্বৰ্গ আপনার ফুল ফুটিয়েছিল, সেই মাটির সঙ্গে তার সম্বন্ধ ছিন্ন হয়ে গেছে । বৃহস্পতি। মাটি আপনি কাকে বলচেন ? ইন্দ্র। পৃথিবীকে। মনে ত আছে একদিন মানুষ স্বর্গে এসে দেবতার কাজে যোগ দিয়েচে এবং দেবতা পৃথিবীতে নেমে মানুষের যুদ্ধে অস্ত্র ধরেচে। তখন স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য উভয়েই সত্য হয়ে উঠেছিল তাই সেই যুগকে সত্যযুগ বলত। সেই পৃথিবীর সঙ্গে যোগ না থাকলে স্বৰ্গ আপনার অমৃতে আপনি কি বাচ তে পারে ? কাৰ্ত্তিকেয়। আর পৃথিবীও যে যায়, দেবরাজ। মানুষ এমনি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাচ্চে, যে, সে