নদীতে নেয়ে মাটির ঘড়ায় জল তুলে আন্ব বকুলতলার রাস্তা দিয়ে।”
রাজা বল্লে, “আচ্ছা বেশ, তার আর ভাবনা কি?”
রাস্তায় রাস্তায় পাহারা বস্ল, লোকজন গেল সরে।
সাদা শাঁখা পরলেম, আর লালপেড়ে সাড়ি। নদীতে স্নান সেরে ঘড়ায় করে জল তুলে আন্লেম। দুয়োরের কাছে এসে মনের দুঃখে ঘড়া আছড়ে ভাঙলেম। যা ভেবেছিলেম তা হল না, শুধু লজ্জা পেলেম।
তারপরে সেদিন রাসযাত্রা।
মধুবনে জ্যোৎস্নারাতে তাঁবু পড়ল। সমস্ত রাত নাচ হল গান হল।
পরদিন সকালে হাতির উপর হাওদা চড়ল। পর্দার আড়ালে বসে ঘরে ফিরচি, এমন সময় দেখি বনের পথ দিয়ে কে চলেচে, তার নবীন বয়েস। চূড়ায় তার বনফুলের মালা। হাতে তার ডালি; তাতে শালুক ফুল, তাতে বনের ফল, তাতে ক্ষেতের শাক।
ছত্রধারিণীকে শুধোলেম, “কোন্ ভাগ্যবতীর ছেলে পথ আলো করেচে?”
ছত্রধারিণী বল্লে, “জান না? ঐ ত দুয়োরানীর ছেলে। ওর মা’র জন্যে নিয়ে চলেচে, শালুক ফুল, বনের ফল, ক্ষেতের শাক।”