বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লুকোচুরি।
২৯

 অ। আমারই দাসী বটে; সম্প্রতি নিযুক্ত হইয়াছে। এখনও দুইমাস হয় নাই কিন্তু ইহারই মধ্যে বিমলার বড় প্রিয়পাত্রী হইয়া পড়িয়াছে।

 আ। যদি তাহা হইয়া থাকে, তাহা হইলে আমার কোন আপত্তি নাই।

 এই সময়ে সুশীলবাবু তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি আমাকে ও অনাথবাবুকে আহার করিতে অনুরোধ করিলেন। আমি তখন দাসীকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিতে বলিয়া সুশীলবাবুর সহিত আহার করিতে যাইলাম। অনাথনাথও আমার সঙ্গে গেলেন।

 সত্বর আহার সমাপন করিয়া আমি বাহিরে আসিলাম। অনাথনাথ তখনও ভিতরে ছিলেন; সুশীলবাবুর সহিত কথা কহিতে ব্যস্ত ছিলেন।

 আমি বাহিরে আসিয়া দাঁড়াইবার মাত্র একখানি ভাল বাড়ীর গাড়ী সুশীলবাবুর বাড়ীর দরজায় লাগিল। মুহূর্ত মধ্যে একজন মহিলা তাহার ভিতরে আর একজন দাসী গাড়ীর পশ্চাতে গিয়া বসিল। চক্ষের পলক পড়িতে না পড়িতে কোচমান অশ্বে কশাঘাত করিল। ঘোড়া দুইটা ভয়ানক তেজীয়ান ছিল প্রহার খাইয়া প্রাণপণে ছুটিতে লাগিল এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কোথায় অদৃশ্য হইয়া গেল।

 আমার ভয়ানক সন্দেহ হইল। দাসীকে দেখিয়া বুঝিতে পারিলাম, সে অনাথনাথের বাড়ীর লোক। যিনি গাড়ীর ভিতরে গিয়া বসিলেন, তিনি নিশ্চয়ই অনাথবাবুর স্ত্রী। যদি তাঁহার খুড়ীমার পীড়ার জন্যই ব্যস্ত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে