পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

এইরূপ সহলা উভয়ের দর্শনে উভয়েই বুঝিলেন যে তাঁহাযরা পরস্পর পরম্পরকে ভুলিতে পারেন নাই। ক্ষণেক নিস্পন্দ থাকিয়া কিঞ্চিৎ পরে উভয়ে উভয়ের হস্ত ধারণ করিয়া সেই দোকান হইতে বহির্গত হইলেন। নিকটস্থ উদ্যানেয় নির্জন বৃক্ষনিয়স্থ বেঞ্চে বসিয়া উভয়ে কত কথা কহিলেন;—কত দিনেযর কত কথা, সে কথার শেষ নাই, বিরাম নাই। সে প্রেমিক যুগলের এম কথোপকথন কত মধুর, কত কোমল তাহা প্রেমিক ভিন্ন অপরে বুঝিবেন না।

 সে দিনের জন্ত উভয়ে উভয়কে প্রেমালিঙ্গন করিয়া বিদায় হইলেন, কিন্তু সেই সাক্ষাৎ শেষ সাক্ষাৎ নহে;—সেই দিন হইতে প্রয়ই প্রত্যহ উভয়ে গোপনে ও নির্জনে সাক্ষাৎ করিতে লাগিলেন। যুবতী ধনাঢ্য ব্যক্তির কন্যা, পিতৃমাতৃহীন হওয়ায় তিনিই এক্ষণে ঐশ্বর্যের একমাত্র উত্তরাধিকারিণী;—সুতরাং তাঁহাকে বিবাহ করিবার জন্য দেশের মান্যগণ্য অনেকে ব্যগ্র, এরূপ স্থলে যুবতীর আত্মীয় স্বজনগণ যে অজ্ঞাত কুলশীল এক অপরিচিত কৃষ্ণবর্ণ ভারতবাসীর সহিত, সামান্য পশু শিক্ষকের সহিত তাহার বিবাহে সম্মত হইবেন, ইহা কখনই সম্ভব নহে। যাতে যুবতী যুবকের সহিত সাক্ষাৎ করতে না পারেন তাঁহারা প্রাণপণে তাহারই চেষ্টা করিতে লাগিলেন; কিন্তু এই কালের শ্রোতস্বিনী ন্যায় প্রেমের এত প্রবল তরঙ্গময়ী, কে সেই বেগেয় প্রতিবন্ধক হইতে পারে। যুবতীর আত্মীয় স্বজন যতই প্রতিবন্ধকতাচরণ করিতে লাগিলেন, তাঁহার প্রেম স্রোতও ততই প্রবল হইয়া উঠিতে লাগিল। যে কোন উপায়ে হউক তিনি প্রত্যহ গোপনে সুরেশের সহিত সাক্ষাৎ করিতে