পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাষ্ট্রবিপ্লব।
১৮৩

আমাকে চিনিতেন না, কিন্তু ইনি ন্যায়বান্‌ ব্যক্তি,—লোকের গুণ গ্রহণে সঙ্কুচিত নহেন। আমি কোন্ দেশবাসী, আমি কে, ইনি তাহা একবারও দেখেন নাই। যুদ্ধক্ষেত্রে ইনি আমার সাহস ও দক্ষতা দেখিয়া প্রীত হইয়া আমার পদোন্নতির জন্য রাজপুরুষদিগকে লিখিয়াছিলেন,—তাহাতেই আমার এই পদোন্নতি ঘটিয়াছে। তিনি আমার সম্বন্ধে এ দেশের মার্শাল ভাইস-প্রেসিডেণ্টকে বিশেষরূপে লিখিয়াছিলেন, তাহাতেই আমি লেফ্‌টানেণ্টের পদলাভ করিয়াছি। আপনি বোধ হয় শুনিয়াছেন যে, আমি লেফ্‌টানেণ্ট হইয়া নাথেয়র নামক স্থানে যে ঘোর যুদ্ধ হইয়াছিল। তাহাতে বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করিয়াছিলাম। বলা বাহুল্য আমাদেরই জয় হইয়াছে।”

 সুরেশ লিখিয়াছেন,—‘‘আমি এই পত্রের সহিত নাথেরয়ের যুদ্ধের এক চিত্র পাঠাইতেছি। নাথেরয়ে আমায় নিম্নস্থ সৈনিকগণ সকলেই আমাকে বিশেষ ভয় করিত;—কেন করিত বলা যায় না,—আমি তাহাদের কাহারও প্রতি কখনও নির্দ্দয় ব্যবহার করি নাই। আপনারা সকলেই লেখেন যে, যুদ্ধের বিশেষ বর্ণনা আমাদিগকে লিখিয়া পাঠাইবে,—কিন্তু কাকা! কি লিখিব? যুদ্ধের ভয়াবহ বর্ণনা আমি আপনাকে কি লিখিব! যে জীবন জগতে সকল অপেক্ষা প্রিয়, যুদ্ধে সেই জীবন ক্রীড়াদ্রব্যরূপে লোকে অনায়াসে নষ্ট করে। সাহস আর কাহাকে বলে। যুদ্ধক্ষেত্রে স্থিরচিত্তে প্রাণদান করার নাম, বা প্রাণদান করিবার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নামই সাহস।

 যখন শত্রুগণ দূরে অবস্থান করে, তখন তোমার বুদ্ধি, প্রত্যুৎপন্নমতি, তোমার দক্ষতা, সাবধানতা, তোমার