পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

ভয় করি না। মৃত্যুর পূর্ব্বে অনেক রোগীকে আমি চিকিৎসা করিয়াছি; অনেকে রোগ হইয়া মরিয়াও গিয়াছে, তথাপি আমি এখানে অবস্থান করিতেছি আর যদি আমিও মরিয়া যাই, তাহা হইলে আরও ভাল। যদি ভগবান আমাকে রক্ষা করেন, তাহা হইলে আবার এক দিন না একদিন আপনাদিগকে যে দেখিতে পাইব, ইহাই আমার পরম আনন্দের বিষয়। যা’ক, এই অপ্রীতিকর কথায় আর কাজ নাই।

 পিতৃব্য মহাশয়, আমি শীঘ্রই এ স্থান হইতে চলিয়া যাইব এবং এমন কোন একটা উপায় আবিষ্কার করিব যে, আমি অনায়াসে পরিভ্রমণ করিতে পারিব; কারণ, ভ্রমণেই আমার অপার আনন্দ এবং তাহা হইতেই একটা নূতন মৎলব পাওয়া যাইবে ও কোন দিন বাটী ফিরিয়া যাইতে পারিব বলিয়া মনে হয়। আমি সর্ব্বদাই ভ্রমণ করিব, কারণ গতিই সৃষ্টির নিয়ম এবং জীবনের লক্ষণ। তা’ছাড়া ব্রেজিলে আসিয়া সামরিক বিভাগে পসার প্রতিপত্তি লাভের যে বাসনা ছিল তাহা আমার পূর্ণ হইয়াছে। আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল—ঘৃণার্হ রমণী জাতির সাধুতার বিষয় পরীক্ষা করা; দ্বিতীয়, আমার জনৈক বন্ধু যে কোন সামরিক কর্ম্মচারীর দ্বারা অবমানিত হইয়াছিলেন, তাহার প্রতিশোধ লওয়া। এ দুইই আমার হইয়াছে, আমি রমণী জাতিকে ঘৃণার সহিত পরিত্যাগ করিয়াছি,—আর সেই রত্নবৈরী আমার আগমনে ভয়ে পলায়ন করিয়াছে। অনেক কষ্টে এই সকল কার্য্য সমাধা হইয়াছে। আমি সুখজনক নাট্যময় জীবন পরিত্যাগ করিয়া দুঃখ ও কঠোরতাময় সৈনিক জীবন ইচ্ছাপূর্ব্বক তিন বৎসরের জন্য গ্রহণ করিয়াছিলাম। ‌এই