পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাম্যসাহিত্য > > " এক কালেতে র্যাক সঁপেছি বিরাগ হলেন র্তাই । যম-সম কোনো দেবতা রাধিকার নাই। ইহা বই নিশ্চয় কই কোথা পাব ধন। মোর কেবল কৃষ্ণনাম অঙ্গের ভূষণ । রাজার নন্দিনী মোর। প্রেমের ভিখারি— বধুর কাছে সেই ধন লয়ে দিতে পারি। বলছে দূতী, শোন শ্ৰীমতী, মিলবে স্যামের সাথে । তখন দুজনের দুই যুগল চরণ, তাই দিয়ে মোর মাথে । এই পুরস্কারের কড়ার করাইয়া লইয়া দুতী বাহির হইলেন। যমুনা পার হইয়। পথের মধ্যে— হাস্যরসে একজনকে জিজ্ঞাসিলেন তবে, কও দেখি কার অধিকারে বসত কর সবে ॥ সে লোক বললে তখন রাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়, মেঘের ধারা রৌদ্রে যেমন লাগল দূতীর গায় । ননীচোরা রাখাল ছোড়া ঠাট করেছে আসি । চোর বিনে তাকে কবে ডাকছে গোকুলবাসী । কৃষ্ণের এই রায়বাহাদুর খেতাবটি দূতীর কাছে অত্যন্ত কৌতুকাবহ বোধ হইল । কৃষ্ণচন্দ্ররায়, এ তো আসল নাম নয়। এ কেবল মূঢ় লোকদিগকে ভুলাইবার একটা আড়ম্বর । আসল নাম বৃন্দ জানে। চললেন শেষে কাঙালবেশে উতরিলেন দ্বারে । হুকুম বিনে রাত্রিদিনে কেউ না যেতে পারে । বহুকষ্টে হুকুম আনাইয়। ‘বৃন্দাদূতী গেল সভার মাঝে’ । সম্ভাষণ করি দূতী থাকল কতক্ষণ । একদৃষ্টে চেয়ে দেখৈ কৃষ্ণের বদন । ৮ক