বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
শকুন্তলা

কহিলেন, না না,এত ব্যস্ত হইতে হইবেক না; মধুর সম্ভাষণ দ্বারাই আতিথ্য করা হইয়াছে। তখন অনসূয়া কহিলেন মহাশয়! এই সুশীতল সপ্তপর্ণবেদীতে উপবেশন করিয়। শ্রান্তি দূর করুন। রাজা কহিলেন তোমরাও জলসেচন দ্বারা অতিশয় শ্রান্ত হইয়াছ, মুহূর্ত্ত বিশ্রাম কর। প্রিয়ংবদা কহিলেন সখি শকুন্তলে! অতিথির অভ্যর্থন। রক্ষা করা কর্ত্তব্য; আইস আমরাও বসি। অনন্তর সকলেই উপবেশন করিলেন।

 এইৰূপে সকলে উপবিষ্ট হইলে, শকুন্তলা মনে মনে কহিতে লাগিলেন, কেন এই অপরিচিত ব্যক্তিকে নয়নগোচর করিয়া আমার মনে তপোবনবিরুদ্ধ বিকার উপস্থিত হইতেছে; এই বলিয়া, তাঁহার নাম, ধাম, জাতি, ব্যবসায়াদির বিষয় জানিবার নিমিত্ত নিতান্ত উৎসুক হইলেন। রাজ তাপসকন্যাদিগের প্রতি দুষ্টিপাত করিয়া কহিলেন তোমাদিগের সমান বয়স, সমান ৰূপ; সেই নিমিত্ত তোমাদিগের সৌহৃদ্য অতি রমণীর হইয়াছে। প্রিয়ংবদা রাজার অগোচরে অনসূয়াকে কহিলেন সখি! এ ব্যক্তি কে; কেমন চতুর, গম্ভীরাকৃতি ও প্রভাবশালী; মধুর আলাপ দ্বারা চিরপরিচিত সুহৃদের ন্যায় প্রতীতি জন্মাইতেছেন। অনসূয়া কহিলেন সখি! আমার ও এ