পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১৩

বিষয়ে কৌতূহল উপস্থিত হইয়াছে। ভাল, জিজ্ঞাসা করিতেছি। এই বলিয়া রাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন মহাশয়! আপনকার মধুরালাপ শ্রবণে সাহসী হইয়া জিজ্ঞাসিতেছি আপনি কোন্ রাজর্ষিবংশ অলঙ্কৃত করিয়া আছেন? কোন্ দেশকে আপনার বিরহে কাতর করিতেছেন? কি নিমিত্তই বা এরূপ সুকুমার হইয়াও তপোবনদর্শনপরিশ্রম স্বীকার করিয়াছেন? শকুন্তলা, শুনিয়া মনকে প্রবোধ দিয়া, কহিলেন হে হৃদয়! এত উতলা হও কেন? তুমি যাহা ভাবিতেছিলে অনসূয়া তাহাই জিজ্ঞাসা করিতেছে।

 রাজা শুনিয়া মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন কি রূপে আত্মপরিচয় প্রদান করি, কি রূপেই বা আত্মগোপন করি। এই বলিয়া কিঞ্চিৎ ভাবিয়া কহিলেন ঋষিতনয়ে! আমি রাজা দুষ্মন্তের ধর্ম্মাধিকারে নিযুক্ত; পুণ্যাশ্রম দর্শনপ্রসঙ্গে এই ধর্ম্মারণ্যে উপস্থিত হইয়াছি। অনসূয়া কহিলেন অদ্য তপস্বীদিগের বড় সৌভাগ্য; মহাশয়ের সমাগমে অদ্য তাঁহারা পরম পরিতোষ লাভ করিবেন। এইরূপ কথোপকথন চলিতে লাগিল। কিন্তু পরস্পর সন্দর্শনে, রাজা ও শকুন্তলা উভয়েরই মন চঞ্চল হইল এবং উভয়েরই আকারে ও ইঙ্গিতে সেই চিত্তচাঞ্চল্য স্পষ্ট