পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়। কিন্তু সেরকম বড়লোক কি আর আছে! (হঠাৎ হাসিয়া) তারা ভারী সেয়ানা, এক পয়সা বাজে খরচ করতে চায় না । এই বলিয়া পুনরায় সে হাসিয়া উঠিল। বিজয়া তেমনি নিরুত্তরে বসিয়া বহিল। ] নরেন। কিন্তু আপনার বাবা বেঁচে থাকলে হয়ত এ-সময়ে আমার অনেক উপকার হতে পারত—তিনি নিশ্চয় এই উদ্ধৃবৃত্তি থেকে আমাকে রক্ষা করতেন । বিজয়া। কি করে জানলেন ? তাকে তো আপনি চিনতেন না। নরেন । না, আমিও তাকে কখনো দেখিনি, তিনিও বোধ হয় কখনো দেখেননি। কিন্তু তবুও আমাকে খুব ভালবাসতেন। কে আমাকে টাকা দিয়ে বিলেত পাঠিয়েছিলেন জানেন ? তিনিই। আচ্ছা আমাদের ঋণের সম্বন্ধে আপনাকে কি কখনো কিছু তিনি বলে ধাননি ? বিজয়া। বলাই তো সম্ভব, কিন্তু আপনি কি ইঙ্গিত করছেন তা না বুঝলে তো জবাব দিতে পারিনে । নরেন । ( ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া ) থাক গে। এখন এ আলোচনা একেবারে নিম্প্রয়োজন । বিজয়া । ( ব্যাগ্র হইয়া ) না, বলুন-বলতেই হবে।--আমি শুনবোই। নরেন। কিন্তু যা চুকেবুকে শেষ হয়ে গেছে তা আর শুনে কি হবে বলুন ? বিজয়া । না সে হবে না, আপনাকে বলতেই হবে । নরেন । ( হাসিয়া ) বলা যে শুধু নিরর্থক তাই নয়—বলতে আমার নিজেরও লজ্জা করে। হয়ত আপনার মনে হবে আমি কৌশলে আপনার সেণ্টিমেন্টে घाँ मेिंcघ्न বিজয়া । ( অধীরভাবে ) আমি আর খোশামোদ করতে পারিনে আপনাকে— আপনার পায়ে পড়ি বলুন। নরেন । খাওয়া-দাওয়ার পরে । বিজয়া। না এখুনি। নরেন। আচ্ছা, বলছি বলছি। কিন্তু তার পূৰ্ব্বে একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আমার বাড়িটার ব্যাপারে সত্যিই কি তিনি কোনদিন কোন কথা আপনাকে বলেননি ? ( বিজয়া অধিকতর অসহিষ্ণু হইয়া উঠিল । ) আচ্ছ, রাগ করে কাজ নেই, আমি বলছি। যখন বিলেত যাই তখন বাবার মুখে শুনেছিলাম আপনার বাবাই আমাকে পাঠাচ্ছেন। আজ দিনচারেক আগে দয়ালবাবু আমাকে একতাড়া চিঠি দেন। নীচের যে-ঘরটায় ভাঙাচোরা কতকগুলো আসবাব পড়ে আছে তারই একটা ভাঙা দেরাজের মধ্যে চিঠিগুলো ছিল-বাবার জিনিস বলে দয়ালবাৰু আমার হাতেই দেন। পড়ে দেখলুম খানচুই চিঠি আপনার বাবার লেখা। শুনেছেন বোধ weር ፃ