আলছত্রাঙ্ক மு: কস্তার বিবাহযোগ্য বয়সের সম্বন্ধে যত মিথ্যা চালানো যায় চালাইয়াও সীমানা ডিঙাইয়াছে। বিবাহের আশাও শেষ হইষাছে -ওম, সে কি কথা ! হইতে আরম্ভ করিয়া চোখ টিপিয়া কন্যার ছেলে-মেয়ের সংখ্যা জিজ্ঞাসা করিয়াও এখন আর কেহ বস পায় না, সমাজে এ রসিকতাও বাহুল্য হইয়াছে। এমনি দশা অনুরাধার। অথচ ঘটনা সেযুগের নয়, নিতান্তই আধুনিককালের। এমন দিনেও যে কেবল মাত্র গণ-পণ, ঠিকুজি-কোষ্ঠী ও কুল-শীলের যাচাই বাছাই করিতে এমনটা ঘটিল—অনুরাধার বয়স তেইশ পার হইয়া গেল, বর জুটিল না এ-কথা সহজে বিশ্বাস হয় না। তবু ঘটনা সত্য । সকালে এই গল্পই চলিতেছিল আজ জমিদারের কাছারিতে। নূতন জমিদারের নাম হরিহর ঘোষাল, কলিকাতাবাসী-ৰ্তার ছোট ছেলে বিজয় আসিয়াঁছে গ্রামে। বিজয় মুখের চুরুটটা নামাইয়া রাখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি বললে গগন চাটুয্যের বোন ? বাড়ি ছাড়বে না ? যে লোকটা খবর আনিয়াছিল সে কহিল, বললে—যা বলবার ছোটবাবু এলে র্তাকেই বলব । বিজয় ক্রুদ্ধ হইয়া কহিল, তার বলবার আছে কি ? এর মানে তাদের বার করে দিতে আমাকে যেতে হবে নিজে । লোক দিয়ে হবে না ? লোকটা চুপ করিয়া বহিল। বিজয় পুনশ্চ কহিল, বলবার তার কিছুই নেই বিনোদ, কিছুই আমি শুনব না। তবু তারি জন্যে আমাকেই যেতে হবে তার কাছে —তিনি নিজে এসে দুঃখ জানাতে পারবেন না । বিনোদ কহিল, আমি তাও বলেছিলাম। অনুরাধা বললে, আমিও তন্ত্ৰ-গেরস্থ ঘরের মেয়ে বিনোদদা, বাড়ি ছেড়ে যদি বার হতেই হয় তাকে জানিয়ে একেবারেই বার হয়ে যাব, বায় বার বাইরে আসতে পারব না। কি নাম বললে হে, অমুরাধা ? নামের ত দেখি ভারি চটক-তাই বুঝি এখনো অহঙ্কার ঘূচল না ? श्रांखि नीं । مایا y
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৭৩
অবয়ব